বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির কাছে বিট মানেই ‘ভেজিটেব্ল চপ’। কিন্তু বিট দিয়ে সহজেই নানা ধরনের পদ বানিয়ে ফেলা যায়। বিটের তরকারি, বিটের স্মুদি, বিটের স্যালাড, বিটের পরোটা বা গোলা রুটি— চাইলেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সব রকমের খাবার। বিট থেঁতো করে আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি কিংবা গোলা রুটি বানিয়ে ফেলতে পারলে সুস্বাদু অথচ স্বাস্থ্যকর জলখাবার তৈরি হয়ে যাবে নিমেষেই। কেন শীতে বেশি করে বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা? জেনে নিন কারণগুলি।
১। ওজন নিয়ন্ত্রণ
বিটে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। তাই যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য বিট খুব ভাল খাবার।
২। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
বিটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট রয়েছে, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। এতে রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিট দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় নানা রকম পদ। ছবি: সংগৃহীত
৩। রক্ত পরিশুদ্ধ করে
শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করার জন্য বিট খুব কার্যকর। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিট রক্তে লোহিতরক্তক্ষনিকার সংখ্যা বাড়ায়। একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে তাই।
৪। পুষ্টিগুণে ভরপুর
বিটরুটে রয়েছে আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানা জরুরি পুষ্টিগুণ। ফলে রোজের খাবারে বিট রাখলে তা শরীরের যত্ন নেবে।
৫। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর
বিটের মধ্যে রয়েছে বিটানিন। এর কারণেই লাল রং। বিটানিন এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বটে! ফলে শরীরের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী।