ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য কতটা নিরাপদ কমলালেবু ছবি: সংগৃহীত
রোদে বসে কমলালেবু না খেলে কী শীতকাল আদপেও শীতকাল বলে মনে হয়? একেবারেই না। স্বাদ আর স্বাস্থ্যের এমন যৌথ ষড়যন্ত্র এড়িয়ে যাওয়ার মতো শক্তিশালী কলিজা বঙ্গ সমাজে বিরল। এতদসত্ত্বেও মধুমেহ রোগীরা কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই ভয় পান কমলালেবুর দিকে হাত বাড়াতে। জানুন কতটা যুক্তিযুক্ত এই ভয়—
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। আমেরিকান ডায়াবিটিস সোসাইটির মতে কমলালেবু বা মোসাম্বির মতো সাইট্রাস ফলগুলি মধুমেহ রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফাইবার, ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কমলালেবু অবশ্যই থাকা উচিত মধুমেহ রোগীদের খাদ্য তালিকায়।
২। কমলালেবুতে রয়েছে ভরপুর ফাইবার যা পাচিত হয় অতি ধীর গতিতে। ফলে রক্তে শর্করা মেশেও অত্যন্ত ধীরে। এতে দীর্ঘ সময় ধরে স্থিতিশীল থাকে রক্তের শর্করার পরিমাণ। তা ছাড়া কমলালেবুর গ্লাইসেমিক সূচক প্রায় ৪০ ৪৩। বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে, ৫৫-এর কম গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত শর্করা রক্তে শোষিত হতে সময় নেয় অনেক বেশি। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দীর্ঘ সময় ধরে ধ্রুবক রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার।
কিন্তু এই খাদ্য গুণের সুফল পুরোপুরি পেতে রস করে নয়, কমলালেবু খেতে হবে গোটা। কারণ শুধু রস খেলে অনেক ক্ষেত্রেই মেলে না প্রয়োজনীয় ফাইবার। ফলে সরাসরি রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ আচমকা বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।
তবে মনে রাখা দরকার প্রত্যেকের শরীর সমান নয়, সমান নয় শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়াও। কাজেই কমলালেবুই হোক বা অন্য কোনও ফল, খাওয়ার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে স্বাস্থ্যের। কোনও রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে দেরি না করে নিতে হবে চিকিত্সকের পরামর্শ।