ডায়াবিটিস জব্দ করতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন পাতিলেবু? ছবি: সংগৃহীত।
কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের মতো সমস্যা নিয়ে বাঙালির দুর্ভোগের শেষ নেই। এই রোগগুলি যেন দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এমন কিছু ক্রনিক রোগের তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে ডায়াবিটিস। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যে কোনও বয়সে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মূলত ডায়াবিটিসের অন্যতম কারণ। শারীরিক পরিশ্রম কম করা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এমন কিছু কারণে ডায়াবিটিস আরও জাঁকিয়ে বসে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই নিয়মিত ওষুধ খান। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনযাপনেও একটা বদল আনা জরুরি। তবে পাতিলেবুর গুণেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় শর্করার মাত্রা। পাতিলেবু শরীরের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবুতে থাকা ফাইবার, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল শরীরের অন্দরে জন্ম নেওয়া জীবাণুর বিনাশ ঘটায়। অনেকেই জানেন না, ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য পাতিলেবু ওষুধের মতো কাজ করে। ডায়াবিটিস জব্দ করতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন পাতিলেবু?
ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য পাতিলেবু ওষুধের মতো কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত।
১) ডায়াবেটিকদের শর্করার মাত্রা হাতের মুঠোয় রাখতে পাতিলেবু হতে পারে অন্যতম অস্ত্র। খেতে বসার আগে খেতে এক গ্লাস জলে পাতিলেবুর রস আর বিটনুন মিশিয়ে খেয়ে নিন। তবে এক দিন খেয়ে বন্ধ করে দিলে চলবে না। সুস্থ থাকতে ধারাবাহিক ভাবে খেয়ে যেতে পারে।
২) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে সঙ্গে পাতিলেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন। বিশেষত মুসুর ডাল, শাকসব্জি দিয়ে তৈরি তরকারির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
৩) ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় অনেক বিধিনিষেধ চলে আসে। ইচ্ছা করলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। সন্ধের টিফিনে অনেকেই তাই চিনাবাদাম খান। শর্করার মাত্রা কমাতে এই বাদাম বেশ কার্যকরী। বাড়তি সুফল পেতে চিনাবাদামের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন পাতিলেবুর রস। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।