ভার্টিগো কেন হয়? ছবি: সংগৃহীত।
দাঁড়িয়ে কোনও কাজ করছেন, এমন সময় হঠাৎই মাথা ঘুরে গেল। কখনও আবার দিব্যি শুয়ে শুয়ে মোবাইলে সিনেমা দেখছেন, আচমকাই মনে হল, কেমন যেন মাথা ঘুরছে। এই রকম সমস্যা অনেকেরই হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, হতেই পারে এটা ভার্টিগোর উপসর্গ! ভার্টিগো থাকলে হঠাৎই মনে হতে পারে মাথাটা ঘুরে উঠল। এই মনে হওয়াটা কয়েক মুহূর্ত থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!
কেন ভার্টিগো হয়?
মস্তিষ্কের ভেস্টিব্যুলার তন্ত্রের যে সব স্নায়ু দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে, সেগুলিতে সমস্যা দেখা দিলেই ভার্টিগো হতে পারে। কেবল তা-ই নয়, কানের ভিতরের অংশে সংক্রমণ, যা ভেস্টিব্যুলার নিউরাইটিস নামে পরিচিত, তার কারণেও ভার্টিগো হতে পারে। এই সংক্রমণের কারণে বেশ কয়েক দিন বমি ভাব ও ভার্টিগোর সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেনিয়ারের মতো কানের অসুখ থেকেও ঘন ঘন ভার্টিগো হতে পারে। এই অসুখে কানের নালিকায় তরল জমে যায়, এমনকি শ্রবণশক্তিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মস্তিষ্কের কোনও রোগের সঙ্কেতও হতে পারে ভার্টিগো। তাই অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
ভার্টিগোর কোন উপসর্গগুলি বিপজ্জনক?
ভার্টিগো মানেই যে সব সময় চিন্তার, তা নয়। কিন্তু, বেশি মাত্রায় হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এই সব ক্ষেত্রে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, ভারসাম্যহীনতা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, বমি, হঠাৎ কানে শুনতে না পাওয়া, দুর্বলতা, মুখ বেঁকে যাওয়া, কথা বলতে অসুবিধে হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ব্রেনস্ট্রোকের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের আরও সতর্ক থাকা জরুরি।
ভার্টিগো থাকলে হঠাৎই মনে হতে পারে মাথাটা ঘুরে উঠল। ছবি: সংগৃহীত।
কী করবেন?
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে ডায়েটে নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। নুন কম খান। এছাড়া ক্যাফেনযুক্ত খাবার, চকোলেট, অ্যালকোহল ও তামাক সেবন বন্ধ করা জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।