খিচুড়ির সঙ্গে বেশি ভাজা খেলে গলা-বুক জ্বলতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
খিচুড়ির মতো ভারী খাবার রাতে সাধারণত খান না। কিন্তু ওই একটা কথা আছে না, ‘লোভে পাপ’। খিচুড়ির সঙ্গে একগুচ্ছ ভাজাভুজি খেয়ে সেই ‘পাপ’ কাজটাই করে ফেলেছেন। এ বার জল খেয়ে বিছানায় পিঠ ঠেকাতে গিয়েই টের পেয়েছেন, এত ভাজাভুজি খাওয়া একেবারেই উচিত হয়নি। শেষে এমন গলা-বুক জ্বালা করছে যে, ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেয়েও স্বস্তি পাচ্ছেন না। ঘরোয়া উপায়ে এই কষ্ট ঠেকিয়ে রাখার উপায় আছে কি?
১) আদা:
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে আদায়। যা আসলে প্রদাহনাশক। তবে গলা-বুক জ্বালার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এটি। আদা দেওয়া চা, আদার লজেন্স খেলেও কাজ হবে।
২) অ্যালো ভেরা:
প্রদাহনাশক উপাদানে সমৃদ্ধ অ্যালো ভেরার রস। গলা-বুক জ্বালা করলে এক কাপ জলে ৪ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরার রস মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। তা হলে আরাম মিলবে।
৩) বেকিং সোডা:
পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে অনেক সময়ে গলা-বুক জ্বালা করে। অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধের বদলে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে এক গ্লাস জলে এক চিমটে বেকিং সোডা মিশিয়ে খেয়ে থাকেন অনেকে। তাতে কাজ হলেও অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ ছাড়া ঘন ঘন এই জিনিসটি খাওয়া ভাল নয়।
৪) প্রোবায়োটিক:
প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবারের কথা বললে প্রথমে টক দইয়ের কথাই মাথায় আসে। গলা-বুক জ্বালা নিরাময়ে দারুণ টোটকা হতে পারে এই খাবারটি। ফ্রিজে রাখা টক দই খেলে আরও ভাল হয়।
৫) কলা:
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হল কলা। পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিডের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই খনিজটি। তাই গলা-বুক জ্বালা করলে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে এই ফলটি খেয়ে থাকেন অনেকে।