বিভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থল অর্থাৎ, অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে বাত হয়। ছবি- সংগৃহীত
হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কিন্তু সামান্য পা ফেলে চলতে গেলেই যাঁদের পূর্বপুরুষ স্মরণ করতে হয়, তাঁদের জন্য হাঁটার অভ্যাস শাস্তির চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, গাঁটে গাঁটে ব্যথা নিয়েও হাঁটা যেতে পারে, তবে তার-ও নির্দিষ্ট ছন্দ আছে। আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথা নিয়ে খুব জোরে বা আস্তে হাঁটাও যেমন ভাল নয়, তেমন উঁচু-নিচু জায়গায় হাঁটাও পা, কোমরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তবে তার আগে জানতে হবে বাত কেন হয়?
বিভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থল অর্থাৎ, অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে বাত হয়। এতে ব্যথা হওয়া সঙ্গে সঙ্গে চলাফেরায়ও সমস্যা হতে শুরু করে। দু’টি হাড়ের অস্থিসন্ধিতে রয়েছে কার্টিলেজ। এই কার্টিলেজগুলির ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে বাতের সমস্যা শুরু হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে বহু রকমের বাতের উল্লেখ রয়েছে। তবে আমাদের দেশে বেশি দেখা যায় অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস। অস্থিসন্ধিতে থাকা কার্টিলেজ ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে এই ধরনের বাত হয়।
হাঁটা, দৌড়নো বা শরীরচর্চা করার সময়ে দেহের ভার নিতে পারে এমন জুতো পরে তবেই হাঁটতে যান। ছবি- সংগৃহীত
তবে আধুনিক চিকিৎসা বলছে, ব্যথা নিয়েও অল্পবিস্তর হাঁটাহাটি করলে তাতে ক্ষতি কিছু হয় না। তবে হাঁটার সময়ে বিশেষ কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
১) শুরুতেই জোরে জোরে হাঁটতে যাবেন না। প্রথমে হালকা স্ট্রেচ বা ‘ওয়ার্ম আপ’ করে তার পর হাঁটা শুরু করুন। খেয়াল রাখুন, পায়ের অস্থিসন্ধিতে যেন অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
২) বাড়িতে পরার চপ্পল পায়ে দিয়ে হাঁটতে বেরোনো যাবে না। হাঁটা, দৌড়নো বা শরীরচর্চা করার সময়ে দেহের ভার নিতে পারে এমন বিশেষ জুতো পরে তবেই হাঁটতে যান।
৩) হাঁটতে ভাল লাগছে বলেই অনেক ক্ষণ ধরে হেঁটে গেলেন, এমন করলেও কিন্তু বাতের ব্যথা বাড়তে পারে। চাইলে দিনে দু’-তিন বার হাঁটুন কিন্তু নির্দিষ্ট সময় মেপে।
৪) উঁচু-নিচু পাথুরে জমিতে হাঁটা একেবারেই নিষিদ্ধ। সমতল জায়গায়, যেখানে হাঁটু বা পায়ের উপর বেশি চাপ না পড়ে তেমন জায়গায় হাঁটার অভ্যাস করুন।
৫) কোনও ভাবে যদি ব্যথা বাড়ে, তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশ্রাম নিলেই ব্যথা কমে যাবে ভেবে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।