পর্যাপ্ত ঘুম শুধু মস্তিষ্ক নয়, শারীরবৃত্তীয় নানা প্রক্রিয়াও নিয়ন্ত্রণ করে। ছবি- সংগৃহীত
ঠিক যে ভাবে শরীরের খাদ্য ও জল প্রয়োজন, তেমনই দরকার ঘুম। কয়েক রাত না ঘুমোলেই যে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, এমন নয়। কিন্তু মস্তিষ্ক এক ভাবে সচল না-ও থাকতে পারে। কাজের সময়ে অনেক কিছুই গুলিয়ে যায়। খুব সামান্য বিষয় ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। কাজে মনোনিবেশ করতেও অসুবিধা হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। দিনের পর দিন ঘুমের অভাব ঘটলে চলাফেরা করার সময় ভারসাম্যের অভাবে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। চিকিৎসকেরা বলেন, পর্যাপ্ত ঘুম শুধু মস্তিষ্ক নয়, শারীরবৃত্তীয় নানা প্রক্রিয়াও নিয়ন্ত্রণ করে।
পর্যাপ্ত ঘুম অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
পর্যাপ্ত ঘুম হলে শরীরে আর কী কী উপকার হতে পারে?
১) স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে
স্মৃতি ধরে রাখতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শেখা জিনিস মগজস্থ করতে সাহায্য করে ঘুম। তাই এক রাত জেগে পরের দিন কাজ করার তুলনায় পর্যাপ্ত ঘুমের পর কাজ করলে, তা অনেক বেশি ফলদায়ক হয়।
২) শরীর থেকে টক্সিন দূর করে
ঘুম শরীর সুস্থ রাখার একটি প্রক্রিয়া। মস্তিষ্ক থেকে টক্সিন দূর করতেও ঘুমের প্রয়োজন। মস্তিষ্কে জমা টক্সিন থেকেই স্নায়ুর জটিল রোগ অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পর্যাপ্ত ঘুম অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখতে পারে।
৩) সৃজনশীল চিন্তায় সহায়তা করে
ঘুম না হলে মাথা ঠিক ভাবে কাজ করে না। সে ক্ষেত্রে সৃজনশীল কোনও চিন্তাভাবনাই মাথায় আসে না। অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষদের নিয়ে করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তাঁদের ভাবনাচিন্তায় সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে।