চোখের সমস্যা থেকে বাঁচতে সমুদ্রের জলে না নামার কোনও মানে হয় না। তা হলে এর থেকে মুক্তির উপায় কী? ছবি- সংগৃহীত
গরমের ছুটিতে এ বারের গন্তব্য সমুদ্র। তবে রোদের যা দাপট, তাতে সমুদ্রে নেমে কত ক্ষণ স্নান করা যাবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কিন্তু বাচ্চাদের তো আটকানো যাবে না। সকাল হতে না হতেই তারা সমুদ্রস্নানের জন্য বায়না শুরু করবে। সূর্যের প্রখর রোদ থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন তো নিয়েছেন। কিন্তু সমুদ্রের নোনা জল লেগে প্রতি বারই চোখের খুব সমস্যা হয়। তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী? চোখের সমস্যা থেকে বাঁচতে সমুদ্রের জলে না নামার কোনও মানে হয় না। তা হলে এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
রোদ থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন?
সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি শুধু ত্বকের নয়, চোখেরও ক্ষতি করে। দীর্ঘ ক্ষণ চোখে এই রশ্মি লাগলে সেখান থেকে ‘ক্যাটার্যাক্ট’, ‘ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’ এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে রোদচশমা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোদচশমা কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। পাশপাশি চোখ ভাল রাখতে গেলেও শরীর আর্দ্র রাখতে হবে।
সমুদ্রের বালি থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখবেন কী ভাবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সমুদ্রস্নান নয়, বিভিন্ন প্রকার জলক্রীড়াতে অংশ নিলেও চোখে নোনা জল ঢুকে যেতে পারে। জলের সঙ্গে মিহি বালির কণা মিশে থাকে। যা চোখের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর। চোখের মতো স্পর্শকাতর অংশে বালির কণা লেগে কর্নিয়াতে সংক্রমণ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ ধরনের চশমা পরে তবে জলে নামা উচিত। সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ‘লুব্রিকেটিং আইড্রপ’ ও ব্যবহার করতে পারেন।
জল থেকে চোখ সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন?
চোখের সমস্যার জন্য সমুদ্রে না হয় নামলেন না। কিন্তু হোটেলের সুইমিং পুলে তো নামতে ইচ্ছা করতেই পারে। সে ক্ষেত্রে জলের মধ্যে মিশে থাকা ক্লোরিনের মতো রাসায়নিকও চোখে ঢুকে যেতে পারে। সেখান থেকেও চোখে সংক্রমণ হয়। এই সমস্যা থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ধরনের চশমা বা ‘ওয়াটার গ্লাস’ পরতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।