মুগ ডালে রয়েছে কপার, ফাইবার এবং প্রোটিন-সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। ছবি- সংগৃহীত
ডাল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে যাঁরা নিরামিষ বা ভিগান খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের জন্য ডাল বিশেষ ভাবে উপকারী। সাধারণ ডাল-ভাত খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খোসা-সহ মুগ ডাল ভিজিয়ে বা রান্না করেও খেতে পছন্দ করেন। এই ডালে রয়েছে কপার, ফাইবার এবং প্রোটিন-সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। কিন্তু এই মুগ ডালই এক এক জনের শরীরে আবার বিষের মতো কাজ করে।
কোন কোন সমস্যায় সবুজ মুগ ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন?
১) ইউরিক অ্যাসিড
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি যাঁদের, তাঁদের জন্য মুগ কড়াই বা সবুজ মুগ ডাল বিষের মতো কাজ করে। চিকিৎসকদের মতে, রক্তে প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকলে তা ইউরিক অ্যাসিডের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, যন্ত্রণা, ফুলে থাকা এই সব সমস্যা দেখা দেয়।
২) কিডনিতে পাথর
কিডনিতে সাধারণত দু’ধরনের পাথর জমতে দেখা যায়। ক্যালশিয়াম এবং অক্সালেট। জল কম খাওয়ার কারণে বা ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে। মুগ ডাল খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই অক্সালেট জাতীয় পাথর তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা কম
যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম, তাঁদের এই মুগ ডাল এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। যাঁরা ডায়াবিটিসের রোগী, তাঁদের সবুজ খোসা-সহ মুগডাল খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ফলে যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা এমনিতেই কম, মুগ ডাল খেয়ে তা আরও খানিকটা কমে গেলে সমস্যা বেড়ে যায়।