গলায় কাছে জড়িয়ে থাকা সর্দি থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন? ছবি- সংগৃহীত
সাধারণ সর্দিকাশি হলে তা নিরাময় করার হাজার একটা উপায় আছে। কাশতে কাশতে সর্দি উঠে বেরিয়ে গেলেও খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু এই শ্লেষ্মা যখন শুকিয়ে গিয়ে গলার কাছে আটকে যায়, তখনই সমস্যা শুরু হয়। শুতে গেলেও মনে হয় গলায় কিছু আটকে আছে, আবার সারা দিন নানা কাজের মধ্যেও তাই। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও আছে।
কী কী উপায়ে এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন?
১) গলা ভিজিয়ে রাখুন
গলার কাছে দলা পাকাতে থাকা শুকনো সর্দি গলায় জমতে দেওয়া যাবে না। তার জন্য সারা ক্ষণ গলা ভিজিয়ে রাখতে হবে। শুধু জল খেতে ইচ্ছে না করলে জলীয় যে কোনও তরল খেলেই হবে। সারা দিনে মহিলাদের কম পক্ষে ১১.৫ কাপ অর্থাৎ ২.৭ লিটার এবং পুরুষদের কম পক্ষে ১৫.৫ কাপ অর্থাৎ ৩.৭ লিটার জল খেতেই হবে। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে এবং শুতে যাওয়ার সময় উষ্ণ গরম পানীয় খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই আরাম মিলবে।
২) নুন জলে গার্গল
সর্দিকাশি হলে অনেকেই গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করার নিদান দেন। এই মিশ্রণ দিয়ে গার্গল করলে গলার কাছে জমে থাকা শ্লেষ্মার স্তরকে পাতলা করতে সাহায্য করে। প্রতি দিন সকাল বেলা হালকা গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে। সমস্যা যদি খুব গুরুতর হয়, সে ক্ষেত্রে দু-তিন ঘণ্টা অন্তর গার্গল করাই যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই নুন মিশ্রিত জল কোনও ভাবেই যেন পেটে না যায়।
৩) পুদিনা চা খেতে পারেন
ঠান্ডা লেগে সর্দিকাশি হলে অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে যায়, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সেই সময় ‘মেন্থল’ আরাম দিতে পারে। পুদিনা পাতা দিয়ে বানানো চা এই ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে দারুন কাজ করে।
৪) গরম জলের ভাপ
শ্বাসযন্ত্র ভাল রাখতে অনেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার মতোই গরম জলের বাষ্প নাক, মুখ দিয়ে নেন। এতে যেমন সাইনাস গ্রন্থিতে জমে থাকা শ্লেষ্মাও বেরিয়ে আসে, তেমন নাসারন্ধ্র থেকে শ্বাসনালির পথও পরিষ্কার থাকে।
৫) কফি বা মদ একেবারেই নয়
সর্দি হলে বা ঠান্ডা লাগলে গরম পানীয় খেতে ভাল লাগে। চিকিৎসকরাও পরামর্শ দেন গরম পানীয় খেতে। তাই বলে গরম জলে ‘রাম’ বা গাঢ় কফি একেবারেই নয়। আর্দ্রতা বজায় রাখতে অন্যান্য গরম পানীয় খেলেও অ্যালকোহল বা কফি শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করে।