ডায়াবিটিস থাকলে শুকনো ফল খাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
ড্রাই ফ্রুট্স এমনিতে শরীরের জন্য ভাল। সকালে উঠে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া থেকে শুরু করে, সিরিজ় দেখার মাঝে মধ্যরাতে শুকনো খেজুর— ইন্টারনেট ঘেঁটে সব খবরই সংগ্রহে রেখেছেন। কাজের ফাঁকে মুখরোচক কিছু না খেয়ে মাঝেমধ্যে সেই সব খাবার মুখে চালান করেন। কিন্তু সমস্যা অন্য! রাতবিরেতে মুঠো মুঠো ড্রাই ফ্রুট্স মুখে পুরলে রক্তে শর্করার মাত্রা চড়চড় করে বেড়ে যাবে না তো? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে ড্রাই ফ্রুট্স খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ডায়াবিটিস থাকলে কোন কোন ড্রাই ফ্রুট্স খাওয়া যায়, জেনে নিন।
১) কাঠবাদাম:
‘ইউরোপীয়ান জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ বলা হয়েছে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে কাঠবাদামের। কারণ, এই বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার বেশি। যা রক্তে আচমকা শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না। এ ছাড়া কাঠবাদামে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এই খনিজটি ইনসুলিন ক্ষরণ এবং তার কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) আখরোট:
‘ডায়াবিটিস মেটাবলিক রিসার্চ রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট প্রদাহজনিত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবিটিস ম্যানেজমেন্টের জন্য এটিও গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া আখরোটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই আখরোট খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
৩) শুকনো ডুমুর (ফিগ):
স্বাদে মিষ্টি হলেও শুকনো ডুমুর (বাঙালির চেনা ডালনা রান্নার সব্জিটি নয়) ডায়াবেটিকদের জন্য নিরাপদ। কারণ, এতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। ডুমুরে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। এই ফাইবার রক্তে ভাসমান অতিরিক্ত গ্লুকোজ় শোষণে বাধা দেয়। কাঠবাদামের মতো শুকনো ডুমুরেও পটাশিয়াম রয়েছে। তাই প্রদাহ নিরাময়ে এই ফলটিও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।