প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
চাকরির সুযোগ কী ভাবে আরও বাড়ানো যায়? বিশেষত তরুণদের মধ্যে কী ভাবে আরও কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়?
বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে এই প্রশ্ন নিয়েই আলোচনায় বসলেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-২৬-এর বাজেট পেশ হবে। সেই বাজেটের প্রস্তুতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কর্মসংস্থানের প্রশ্ন উঠে আসায় রাজনৈতিক শিবির বলছে, বেকারত্ব যে বড় সমস্যা, তা প্রধানমন্ত্রী নিজেই মেনে নিচ্ছেন। এমনিতে বেকারত্ব নিয়ে রোজই বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী সোমবার দাবি করেছিলেন, গত দেড় বছরে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দিয়ে তাঁর সরকার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। মুখে বললেও বাস্তবে যে কর্মসংস্থান চিন্তার কারণ, প্রধানমন্ত্রীর এ দিনের বৈঠক থেকেই তা স্পষ্ট।
বাজেটের আগে প্রতি বছরই নরেন্দ্র মোদী অর্থমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অর্থনীতিবিদ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নীতি আয়োগে আলোচনায় বসেন। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকের কী ভাবে তরুণদের কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদরা নিজেদের মতামত জানিয়েছেন।
একাধিক অর্থনীতিবিদ বলেছেন, চাকরির সুযোগ তৈরির পাশাপাশি চাকরির জন্য যোগ্য কর্মী তৈরি করতে হবে। তার জন্য শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নীতিও তৈরি করতে হবে। কারণ চাকরির বাজার নিয়মিত বদলাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থায়ী কাজের সুযোগ তৈরি করতে কৌশল তৈরি করতে হবে। অত্যাধুনিক শিল্পের পাশাপাশি গ্রামেও কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তার জন্য কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনের হার বাড়াতে হবে।
চলতি অর্থ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে আর্থিক বৃদ্ধির মাত্র ৫.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। যা গত ২১ মাসে সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তাও বাজেটের আগে মোদী সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অর্থনীতিবিদদের আলোচনার থিম ছিল, কী ভাবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ধরে রাখা যায়। বৈঠকেমোদীর স্বাধীনতার শতবর্ষ ২০৪৭-এ ‘বিকশিত ভারত’ বা উন্নত অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারতের জন্য আগে মনোভাবে মৌলিক পরিবর্তন দরকার।