ওজন বাড়িয়ে দেয় কিছু পানীয়। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমাতে জল বেশি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। জল ছাড়াও শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে অনেকেই নানা ধরনের পানীয়ে চুমুক দেন। কিন্তু এমন অনেক পানীয় আছে, যেগুলি রোজের ডায়েটে রাখলে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে। উপকারী ভেবে এমন কিছু পানীয় অনেকেই ডায়েটের পর্বে খান, যেগুলি আসলে লাভের চেয়ে ক্ষতি করে বেশি। ডায়েট করলে কোন পানীয়গুলি থেকে দূরে থাকা জরুরি?
১) রোগা হতে চাইছেন, এমন অনেকের রোজের ডায়েটে থাকে স্মুদি। স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলির মধ্যে নিঃসন্দেহে রয়েছে স্মুদি। বিভিন্ন ফল এবং শাকসব্জি দিয়ে তৈরি স্মুদি শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী। বিশেষ করে ওজন কমাতে। বাজারে অনেক রকম স্মুদি পাওয়া যায়। এগুলি স্বাদে দুর্দান্ত হলেও শরীরের জন্য ভাল নয়। এই ধরনের পানীয়ে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এতে স্মুদির স্বাস্থ্যগুণ অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাজারের প্যাকেটজাত স্মুদি এড়িয়ে চলুন। বরং ভরসা রাখুন বাড়িতে তৈরি স্মুদির উপর। তাতে উপকার না হলেও, অপকার হওয়ার ভয় নেই।
২) আপেলের রসের মতো কমলালেবুর রসও কিন্তু তেমন উপকারী নয়। কমলালেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ রয়েছে। যা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি এক ধরনের স্টার্চ। এর বাজারমূল্য চিনির চেয়ে কম। ফলে অনেক প্রস্তুতকারক সংস্থাই তাঁদের তৈরি করা পানীয়ে চিনির বিকল্প হিসাবে এটি দিয়ে থাকেন। কিন্তু চিনির চেয়েও এটি বেশি মিষ্টি এবং ক্ষতিকর। ফলে বাইরে থেকে কমলালেবুর রস কিনে না খাওয়াই ভাল। শীতকালে এখন বাজার জুড়ে কমলালেবুর ছড়াছড়ি। টাটকা, সতেজ কমলালেবু দিয়ে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন।
৩) এটা শুনে অবাক হতে পারেন অনেকেই। কারণ আপেল মেদ ঝরানোর কাজে দারুণ কার্যকর। আপেল থেকে তৈরি রস কিন্তু রোগা হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ বাজার থেকে কিনে আনা এই ধরনের পানীয়ে চিনি মেশানো থাকে। ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ওজন তো কমেই না, উল্টে বেড়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের পানীয় রোগা হওয়ার সময়ে বেশি না খাওয়াই ভাল। তবে আপেলের রস বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন। কিন্তু ভুলেও তাতে চিনি মেশাবেন না