জীবনধারাতে এবং খাদ্যাভ্যাসে খানিক বদল আনলে কিন্তু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিস মানেই বিপর্যয়। জীবন থেকে অনেক কিছু এক নিমেষে বাদ চলে যায়। বর্তমানে মানুষ যে ধরনের জীবনযাপনে অভ্যস্ত তাতে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা রোগগুলির মধ্যে ডায়াবিটিস অন্যতম। তবে ডায়াবিটিসের প্রবণতা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের পূর্ব লক্ষণ থাকলে তাকে ‘প্রি ডায়াবিটিক’ বলে।
দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ফলে ঘুম কম হওয়া, অবসাদ, উদ্বেগজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। শরীরের সঙ্গে এই অনিয়মের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠা নামা করতে থাকে। এই অবস্থাতেই মূলত ডায়াবিটিসের পূর্ব লক্ষণ দেখা দেয়। ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের প্রবণতা, বারেবারে তেষ্টা পাওয়া, সব সময় ক্লান্তি ভাব, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া— এগুলি ডায়াবিটিসের পূর্ব লক্ষণ।
জীবনধারাতে এবং খাদ্যাভ্যাসে খানিক বদল আনলে কিন্তু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। প্রি-ডায়াবিটিসের সমস্যা এড়াতে এই পানীয়গুলির উপর ভরসা রাখতে পারেন।
দুধ কফির বদলে খেতে পারেন কালো কফি। ছবি: সংগৃহীত
বেশি করে জল খান
সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পানের অভ্যাস ডায়াবিটিসের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়। জল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর রক্তে সামগ্রিক ভাবে গ্লুকোজের মাত্রা কম হবে।
কালো কফি খান
ক্যাফিন শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। তবে একান্তই কফি খেতে ভালবাসলে দুধ কফির বদলে খেতে পারেন কালো কফি। চিনি ও দুধ ছাড়া এই কফি রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। বরং নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আপেল সি়ডার ভিনিগার
খাওয়ার আগে দু’চামচ আপেল সিডার ভিনিগার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সক্ষম আপেল সি়ডার ভিনিগার।