ঋতু বদলের এই সময় বেগুন শরীরের যত্ন নেয়। ছবি: সংগৃহীত
এখন তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও বেড়েছে। বাতাসে বসন্তের আমেজ। শীতের কনকনে ভাবটা এখন অনেকটাই উধাও। শীত ও বসন্তের এই সময়টায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। শারীরিক সুস্থ রাখতে হাতিয়ার হতে পারে মরসুমি কিছু সব্জি। কিন্তু বাজারে গেলেই এত রকম রঙিন সব্জির ভিড়ে এই মরসুমে শরীর বান্ধব কোনগুলি সেটা বেছে নেওয়াটা বেশ কঠিন বলেই মনে হয়। তবে হাতের কাছে বেগুন থাকতে নতুন করে ভাবনার কোনও অবকাশই থাকে না। বেগুন পোড়া হোক বা বেগুন ভাজা, বেগুন দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল হোক কিংবা বেগুন বাহার— বেগুন পেলে বাঙালির আর কিছু চাই না। ঋতু বদলের এই সময় বেগুন শরীরের যত্ন নেয়। কী ভাবে?
ছবি: সংগৃহীত
বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন ই ও কে সমৃদ্ধ বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। শরীরের সার্বিক সুস্থতার অন্যতম ভিত্তি হল সঠিক বিপাক প্রক্রিয়া।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
যাঁদের কোলেস্টেরল আছে তাঁদের জন্য বেগুন হতে পারে অত্যন্ত উপকারী একটি সব্জি। বেগুন শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর সুস্থ রাখে।
হজমে সাহায্য করে
অনেকের ধারণা বেগুন খেলে সহজে হজম করা দুষ্কর। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই ধারণা একে বারে ভ্রান্ত। কারণ বেগুনে আছে ডায়েটারি ফাইবার। যা দ্রুত হজম করাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।
ওজন কমাতে
বেগুনে আছে উচ্চ ফাইবার এবং অনেক কম ক্যালোরি। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা চাইলেও রোজের খাত্যতালিকায় রাখতে পারেন বেগুন।
স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে
বেগুনে উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট মস্তিষ্কের কোষে রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বেগুনে উপস্থিত বিভিন্ন উপকারী যৌগ মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য
ভাবী মা-এর শরীর সুস্থ রাখতে বেগুন সহায়ক হতে পারে। নতুন মা যাঁরা বাচ্চাকে স্তন্যপান করান, তাঁদের জন্যেও বেগুন খুব উপকারী। এ ছাড়াও ঋতুস্রাব পূর্ব উপসর্গগুলি রোধ করতেও বেগুন অত্যন্ত কার্যকরী।