গরমকালে মশলা খেলে ভিতর থেকে শীতল থাকতে পারে শরীর। ছবি: সংগৃহীত
অন্যান্য বছরগুলিতে শীত জানুয়ারির শেষ দিক থেকেই ধীরে ধীরে বিদায় নিতে শুরু করে। তাপমাত্রার পারদ একটু একটু করে চড়তে থাকে। শহরবাসীর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে ওঠে। কিন্তু এই বছর ফেব্রুয়ারিতেও শীত স্বমহিমায় বিরাজ করছে বঙ্গে।
তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, শীতের ফিরে যাওয়ার সময় গিয়েছে। ফাল্গুনের শুরু থেকেই হাজির হবে বসন্ত। দিনের বেলা আর গায়ে সোয়েটার, শাল চাপানো যাবে না। বরং চালাতে হবে ফ্যান, এসি। শরীর ঠান্ডা রাখতে সোয়েটার খুলে খেতে হবে আইসক্রিম।
গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখার এক মাত্র উপায় কি শুধু আইসক্রিম? আর কি হতে পারে এই প্রশ্ন সকলের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। যদি বলা হয় শরীর ঠান্ডা রাখতে আইসক্রিমের চেয়ে বেশি কার্যকর হতে বিভিন্ন মশলা সমৃদ্ধ খাবার! শুনে অবাক হলেও দোষ দেওয়া যায় না। কারণ সেটাই স্বাভাবিক।
গরমকালে অনেকেই মশলাদার খাবার একটু এড়িয়ে চলেন। কিন্তু গরমকালে মশলা খেলে ভিতর থেকে শীতল থাকতে পারে শরীর।
ছবি: সংগৃহীত
মশলা শরীর ঠান্ডা রাখে কী ভাবে?
মশলা যে শুধু আপনার খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে তা নয়, প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে একটা শীতল অনুভূতিও দেয়। রান্নায় ব্যবহৃত অধিকাংশ মশলাতেই রয়েছে ক্যাপাসাইসিন নামে একটি উপাদান।তাশরীর ঠান্ডা রাখতে সক্ষম। যখন মশলাদার খাবার খাওয়া হয়, তখন সাময়িক ভাবে গরম ভাব পায় শরীর। কিন্তু ভিতরের উষ্ণতা ঘাম হয়ে ফুটে উঠে শরীর ঠান্ডা রাখে।
আইসক্রিম খাওয়ার পর প্রাথমিক ভাবে ঠান্ডা লাগলেও, যত সময় গড়ায় শরীরকে উষ্ণ করে তোলে।
তবেমশলাদার খাবার হজম করতে সমস্যা হলে তা এড়িয়ে যেতে পারেন। কারণ খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধার উপর জোর দেওয়া সবচেয়ে জরুরি।
এ ছাড়া, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। শুধু গরম পড়লে নয়, তার আগে থেকেই সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত জল পান করাজরুরি।