ছবি: সংগৃহীত।
‘স্বাস্থ্যকর বাদাম’ বললে প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কাঠবাদামের ছবি। আখরোট মস্তিষ্কের স্নায়ুর জন্য ভাল। তুলনায় সস্তা চিনেবাদামের গুণও কম নয়। কিন্তু কাজুবাদাম কিছু ক্ষেত্রে ভাল হলেও মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে খেতে পারেন না। মোদ্দা কথা হল, এই বাদামকে ঠিক স্বাস্থ্যকর খাবারের দলে ফেলতে পারেন না অনেকে। কারণ, ক্যালোরির দিক থেকে দেখলে অন্যান্য বাদামের চেয়ে কাজুর পাল্লা অনেকটাই ভারী।
মোটামুটি ১০০ গ্রাম কাজুতে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ৫৯৮। কার্বোহাইড্রেট রয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ এবং প্রোটিন রয়েছে ১০ শতাংশ। এ ছাড়া কাজুর মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও রয়েছে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভিটামিন বি১, বি২, কে, ই, পিপি এবং ফোলিক অ্যাসিড রয়েছে। আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জ়িঙ্ক, কপার এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজও রয়েছে এই বাদামে। তবে পরিমিত পরিমাণে কাজুবাদাম খেলে লাভই হবে।
বেশি নয়, দু’-চারটি করে কাজু রোজ মুখে দিলে কী উপকার হবে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, যে হেতু কাজুবাদাম ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ, তাই হার্টের জন্য নিঃসন্দেহে তা ভাল। আবার, কাজুতে ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জ়িঙ্ক, কপারের মতো খনিজ থাকায় তা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। পেশি মজবুত করতে এবং নমনীয়তা বজায় রাখতেও এই বাদামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় পেটের সমস্যাও বশে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের কর্মকাণ্ড সঠিক ভাবে পরিচালনা করতেও সাহায্য করে।
কাজুবাদাম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে?
মেদ ঝরানোর জন্য যাঁরা ক্যালোরি মেপে খাবার খান, তাঁদের চোখে কাজুবাদাম ‘অপরাধী’। কারণ, এটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। এ ছাড়াও এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট রয়েছে। শরীরে এই উপাদানের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়ে গেলে কিডনি, পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে।