ছবি: সংগৃহীত।
রোজই স্নান করেন। তেল, সাবানও মাখেন। তা সত্ত্বেও ঘামের দুর্গন্ধ দূর করা যাচ্ছে না। সেই ঘাম জমে বাহুমূলের ত্বকে কালচে ছোপও পড়ে। তা দূর করতে ইদানীং অনেকেই রাসায়নিক দেওয়া ‘রোল অন’ ব্যবহার করেন। তবে এই ধরনের প্রসাধনী নিয়মিত ব্যবহার করা ভাল নয়। আবার, শুধু তেল-জল-সাবান বা ময়েশ্চায়ারাইজ়ার মাখলেও এই সমস্যা যাওয়ার নয়। তা হলে কী উপায়?
১) মুখে বা দেহের অন্যান্য অংশে যেমন মৃত কোষ জমে, তেমনটা বাহুমূলেও হতে পারে। ওয়্যাক্সিং করার পরে ইনগ্রোন হেয়ারও থাকতে পারে। সে সব থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা প্রয়োজন।
২) শুধু বোতল বোতল সুগন্ধি মাখলেই হবে না, ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে হলে পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত স্নান করলে, কাচা পোশাক পরলেও এই সমস্যা বশে রাখা যায়।
৩) তরল সাবান, সুগন্ধি— যা-ই মাখুন না কেন, কেনার আগে দেখে নিতে হবে, তা যেন কোনও ভাবেই ত্বকের পিএইচের সমতা নষ্ট না করে। রাসায়নিক দেওয়া বা অ্যালকোহল মিশ্রিত সুগন্ধি ব্যবহার করলেও কিন্তু বাহুমূলের ত্বক কালচে হয়ে যেতে পারে।
৪) বাহুমূলে ঘাম জমে থাকলেও কিন্তু দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। ঘাম যাতে জমতে না পারে, সে চেষ্টা করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, ভিজে কাপড় বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে বাহুমূল মুছে নিতে হবে।
৫) বার বার ঘাম মুছতে গিয়ে বাহুমূলের ত্বক যেন অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, ত্বকে আর্দ্রতার অভাব হলে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বার বার নখ দিয়ে চুলকালে কালচে ছোপ পড়তে পারে।
কোন কোন ঘরোয়া উপাদান দিয়ে এক্সফোলিয়েটর তৈরি করা যায়?
প্রথমে আধ কাপ চিনি মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন।
তার পর একটি পাত্রে নারকেল তেল এবং পরিমাণ মতো গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে নিন। চাইলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও দিতে পারেন।
এ বার এই মিশ্রণটি বাহুমূলে হালকা হাতে ঘষে নিন। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই বুঝতে পারবেন, চিনি গলে যাচ্ছে।
তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন বার এই পদ্ধতি মেনে চলতে পারলে ত্বকের কালচে ছোপ দূর হবে।