গরমে ঠাকুর দেখতে গিয়ে ঘেমে, নেয়ে একসা। অসবাধান হলে শরীরে জলের ঘাটতিও হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
এক দিকে রোদের তাপ, অন্য দিকে বাতাসে আর্দ্রতা। তার উপরে উৎসবের মরসুমে প্রবল ভিড়। এই গরমে ঠাকুর দেখতে গিয়ে ঘেমে-নেয়ে একশা হওয়ার জোগাড়।
গরমের জেরে পুজোয় ঠাকুর দেখায় ভাটা না পড়লেও, অতিরিক্ত ঘামে এবং জল কম খেলে শরীর খারাপ হতেই পারে। তেষ্টা পেলে দোকান থেকে কার্বোনেটেড পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন, জানেন, এতেও হিতে বিপরীত হতে পারে? চিকিৎসকেরা বলছেন, তেষ্টা ছাড়াও জল না খেলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য জলের প্রয়োজন। তাই সুস্থ থাকতে সঙ্গে কী রাখবেন?
১. সকালেই ঠাকুর দেখুন বা কিংবা রাতে, জল খাওয়াটা খুব জরুরি। অনেক সময় হাতের কাছে জল না থাকায়, তেষ্টা পেলেও জল খাওয়া হয় না। আবার অনেক সময় ঠাকুর দেখার হুজুগে জল খাওয়ার কথাই মনে থাকে না। জল খেতে ভুল হলে কিন্তু শরীরও জানান দিতে পারে।
২. সাধারণ জলের বদলে সঙ্গে ডিটক্স পানীয় রাখতে পারেন। এতে শরীরে তরতাজা ভাব আসবে। সাধারণ জল খেতে অনেক সময় ভাল লাগে না। সঙ্গে খুদে থাকলে সে রঙিন পানীয়ের জন্য বায়না করতে পারে। তখন ফল মেশানো ডিটক্স পানীয় তাকে দিতে পারেন বা নিজেও খেতে পারেন। এ ছাড়া, ডাবের জল এই সময় খুব উপযোগী হবে।
৩. রাস্তার কাটা ফল চিকিৎসকেরা খেতে বারণ করেন। তবে বেশ কিছু ফল আছে, যাতে জলের ভাব বেশি। সেই তালিকায় শসা, তরমুজও রয়েছে। চাইলে গোটা ফল কিনে খেতে পারেন। আবার টাটকা ফলের রসেও চুমুক দেওয়া যায়। তবে রাস্তার বরফ এড়িয়ে চলাই ভাল।
৪. বেশি ঘাম হলে শরীর থেকে জল এবং খনিজ বেরিয়ে যেতে পারে। তাই ভিড়ে ঠাকুর দেখতে হলে, স্টাইলের সঙ্গে আরামেরও খেয়াল রাখুন, একটু ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরলে দিনের বেলা ঘুরতে সুবিধা হবে। রাতের দিকেও এমন পোশাক বেছে নিন, যা আরামদায়ক।
৫. দিনের বেলা গরমে বেশি কষ্ট হলে কোনও ছায়াঘেরা জায়গা বেছে নিন। ঠাকুর দেখার ফাঁকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারতে পারেন। এতে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম হবে, পায়ের ব্যথাও কমবে, আবার শরীরও ঠান্ডা হবে।