অষ্টমীতে কেমন সাজবেন পুরুষরা, রইল টিপ্স। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির অষ্টমীর সাজ মানেই পাঞ্জাবি। কেউ জিন্সের উপর পাঞ্জাবি গলিয়ে নেন, আবার কেউ পুরোদস্তুর সাবেকি সাজে ধুতি-পাঞ্জাবিতে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন। পাঞ্জাবি ছাড়া যেন বাঙালির অষ্টমীর সাজ অসম্পূর্ণ। আর কোঁচা করে ধুতির সঙ্গে পাঞ্জাবি পরলে তো পুরো বাঙালি বাবু।
এখনকার প্রজন্মের ছেলেরা নিজেদের সাজিয়েগুছিয়ে রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। আগে পুরুষের সাজ বলতে ছিল গলায় সোনার চেন, হাতে আংটি বা পাঞ্জাবিতে সোনার বোতাম। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। সেই সঙ্গে রুচিও। পুরুষেরাও নিশ্চিন্তে পরছেন বিভিন্ন রকম গয়না। অষ্টমীতেও ছক ভাঙা সাজে পাঞ্জাবির সঙ্গে গয়না মন্দ লাগবে না।
এখন প্রায় সব গয়না বিপণি আলাদা করে পুরুষদের জন্য আনে নিত্য নতুন ডিজ়াইন। আর গয়না পরার চলও বেড়েছে ছেলেদের মধ্যে। কানের দুল, গলার চেন, হাতের বালা, আংটি, রিস্টলেট। অভিষেক বচ্চন, রণবীর কপূর থেকে আয়ুষ্মান খুরানা, বিভিন্ন তারকাকে নানা সময়ে সাজতে দেখা যায় এমন গয়নায়।
ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গে কানের স্টাড বেশ ভাল লাগবে। সবের সঙ্গেই নজর কাড়ে হিরে বসানো একটা ছোট্ট কানের দুল। এক কানে। কেউ কেউ পছন্দ করেন দু’কানে পরতে। তবে কোনটা মানাবে বেশি, তা নির্ভর করে পোশাকের পছন্দ এবং ব্যক্তিত্বের উপরেই।
প্ল্যাটিনাম বা হিরের রিস্টলেট সকলে কিনতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে চামড়া বা কাঠের রিস্টলেট পরে দেখতে পারেন। পপ কালারের কিছু গ্রাফিক সিলিকন স্ট্র্যাপ ওয়াচ কিনে রাখতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে বদলে বদলে পরবেন। একটু অন্য রকম সাজতে চাইলে নন-মেটালিক কিছু আংটি কিনে রাখুন। বিভিন্ন শপিং মলে পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি বেশি গয়না পরতে স্বাছন্দ বোধ না করেন, তা হলে কেবল ব্রোচ পরতে পারেন। পাঞ্জাবির উপরে বুকের বাঁ দিকে বা ডান দিকে যে দিকে ইচ্ছা লাগিয়ে নিন। ব্রোচ সোনার বা অন্য ধাতুর কিনতে পারেন। যদি বাজেট বেশি থাকে, তা হলে চেন লাগানো সোনার ব্রোচ সংগ্রহে রাখতে পারেন। যে কোনও পাঞ্জাবি বা শেরওয়ানির সঙ্গে মানিয়ে যাবে। আপনার সাজে নতুনত্বের সঙ্গে থাকবে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
পাঞ্জাবির উপরে একটি হার থাকলে কিন্তু দারুণ মানায়। ধুতি-পাঞ্জাবি পরলে গলায় রাখুন একটি সরু সোনার হার। আর শেরোয়ানি পরলে বড় মুক্তোর হারও বেশ ভাল মানাবে। এ বারের পুজোয় একটু অন্য রকম সেজেই দেখুন না।