অ্যালকোহল শরীরের প্রতিটি কোষে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকারক পদার্থ তৈরি করে। প্রতীকী ছবি।
গোটা দেশে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দিন প্রায় ১৩০০ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ক্যানসারের নিয়ে বাঁচা মানুষদের গড় বয়সও সময়ের সঙ্গে কমছে। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার তেমন কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। ক্যানসার একটি ‘মাল্টি ফ্যাক্টেরিয়াল ডিজিজ’। চিকিৎসকরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, অত্যধিক হারে ধূমপান, তেল-মশলা জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক— এমন কয়েকটি কারণে ক্যানসার বাসা বাঁধে দেহে।
ক্যানসার একটি ‘মাল্টি ফ্যাক্টেরিয়াল ডিজিজ’। প্রতীকী ছবি।
ইংল্যান্ডের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা নতুন একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, অ্যালকোহল থেকেও হতে পারে ক্যানসার। এই ধরনের পানীয় যখন সরাসরি কোষের সংস্পর্শে আসে, এটি ক্ষতিকর রাসায়নিক ‘অ্যাকটালডিহাইড’-এ রূপান্তরিত হয়। এটি ডিএনকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে। অ্যালকোহল শরীরের প্রতিটি কোষে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকারক পদার্থ তৈরি করে।
‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, নিয়মিত যাঁরা মদ্যপান করেন, তাঁদের তুলনায় মদ্যপান যাঁরা করেন না, তাঁদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।
সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর আমেরিকায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গবেষকরা বলছেন, কমবয়সেও অনেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তার অন্যতম কারণ অ্যালকোহল সেবন। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে মোট সাত ধরনের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১) গলার ক্যানসার
২)খাদ্যনালীর ক্যানসার
৩) কণ্ঠনালীর ক্যানসার
৪) লিভার ক্যানসার
৫) কোলন ক্যানসার
৬) মলাশয়ের ক্যানসার
৭) স্তন ক্যানসার
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্যানসারের মতো মারণরোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে মদ্যপান তো বটেই, ধূমপানের অভ্যাসও ত্যাগ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার উপরেও জোর দিতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস ক্যানসার আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।