প্রতীকী ছবি।
পুজো এসে গিয়েছে। কেনাকাটা থেকে রূপচর্চা— চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পুজোর ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে চেনাতে পরিশ্রম কম করছেন অনেকেই। পুজোর আগে পার্লারগুলিতে পা ফেলার জায়গা নেই। তাই বলে তো পুজোর সাজ আটকে থাকতে পারে না। ঘরোয়া উপায়েই চলছে পরিচর্যা।
বাঙালির উৎসব-আনন্দের অন্যতম একটি অঙ্গ নিঃসন্দেহে সাজগোজ। শাড়ি, গয়না, রূপটান তো রয়েছেই। কেশসজ্জা কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে যায়। চুলের জেল্লা সাজগোজের জৌলুস কয়েক ধাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও সমান ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
প্রতীকী ছবি।
রোজ ঘুম থেকে উঠে বালিশে চুলের গোছা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকেই। রাতে ঘুমানোর সময়ে বালিশে ঘষা খেয়ে সবচেয়ে বেশি চুল পড়ে। এ ভাবে চুল ঝরার ফলে চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। পুজোর সমাগমে আপনার পাতলা চুল কিন্তু সাজটাই নষ্ট করে দিতে পারে। তাই পুজোর আগে যে কয়েকটি দিন বাকি আছে, মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম।
ভিজে চুলে ঘুমাবেন না
অফিস থেকে ফিরে স্নান করলেন। অথচ ভাল করে চুল না শুকিয়েই ঘুমিয়ে পড়লেন। প্রায়ই এমন করে থাকেন? এতেই বাড়ছে চুল পড়ার পরিমাণ। ভেজা চুলের গোড়া অনেক নরম ও দুর্বল থাকে। চুলের ফলিকলগুলি সবচেয়ে বেশি দুর্বল হয়। ভেজা চুলে ঘুমালে তাই চুল পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। চুল পড়ার পাশাপাশি, ভিজে চুলে ঘুমানোর অভ্যাস নানা ধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে।
চুল হালকা করে বেঁধে ঘুমান
চুল ছেড়ে ঘুমালে চুলের আগার দিক থেকে ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলগুলি হালকা করে বেঁধে নিন। এতে বালিশের সঙ্গে চুল ঘষা খাওয়ার আশঙ্কা কম। তবে বেশি শক্ত করেও চুল বাঁধবে না। এতে চুলের ফলিকল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন
চুল ভাল রাখতে বালিশে সিল্কের কভার পরাতে পারেন। সিল্ক চুলের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। বালিশে ঘষা খেয়ে চুল পড়ার যে আশঙ্কা থাকে, সিল্কের ঢাকার ক্ষেত্রে তেমনটি হবে না।