ডায়াবেটিক মিষ্টি। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসব যা-ই হোক না কেন, উদ্যাপনে মিষ্টি রাখতেই হবে। কাচের শোকেসের মধ্যে রাখা রসগোল্লা, লোভনীয় নানা রকম সন্দেশ, পান্তুয়া, লাড্ডু, গজা— হাতছানি দিয়ে ডাকলেও মনের মধ্যে অজানা এক ভয় কাজ করে। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখেই যদি মিষ্টিমুখ করা যায়, ক্ষতি কী? চিনিকে ব্রাত্য রেখেই গুলাব জামুন, ক্ষীর বা লাড্ডুর মতো মিষ্টি কিন্তু বাড়িতেই তৈরি করে ফেলা যায়। কী ভাবে তা করতে পারেন?
১) কম মিষ্টির গুলাব জামুন
সমপরিমাণ সুজি এবং ময়দা দুধ দিয়ে মেখে নিন। চাইলে খেজুর বেটে মিশিয়ে নিতে পারেন। ভাল করে মাখা হলে মণ্ড থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন। হাতে ঘি মাখিয়ে গোল বলের আকারে গড়ে নিন। কড়াইতে ঘি বা তেল গরম হলে ভেজে রাখুন। এ বার চিনির সিরার বদলে ব্যবহার করুন রোজ় সিরাপ। চিনির মতো মিষ্টি হবে না, কিন্তু মিষ্টত্ব বজায় থাকবে।
২) কাঠবাদামের দুধ দিয়ে তৈরি ক্ষীর
আবাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে দীপাবলিতে ক্ষীর তৈরির রেওয়াজ বহু পুরনো। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে এই ধরনের মিষ্টিপদ বিষের মতো কাজ করে। এই ক্ষীরকে যদি স্বাস্থ্যকর বানিয়ে তুলতে হয়, সে ক্ষেত্রে গরুর দুধের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে কাঠবাদামের দুধ। চিনির বদলে সামান্য গুড় দিলে মন্দ লাগবে না। সঙ্গে ছোট এলাচের গুঁড়ো এবং সামান্য কেশর দিলে দেখতেও খোলতাই হবে।
ড্রাই ফ্রুট্স লাড্ডু। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ড্রাই ফ্রুট্স লাড্ডু
বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজ এবং খেজুর একসঙ্গে মিক্সিতে বেটে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন। হাতে সামান্য একটু ঘি মাখিয়ে গোল করে লাড্ডুর আকারে পাকিয়ে নিন। আলাদা করে চিনি বা গুড় মেশানোর প্রয়োজন নেই। খেজুরের মিষ্টি স্বাদই যথেষ্ট। শুধু ডায়াবিটিস রোগীরাই নন, যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁরাও নিজেদের ডায়েটে এই মিষ্টি রাখতে পারেন।