ভ্রু আঁকানোর পর থেকেই শ্বাসকষ্ট। ছবি: সংগৃহীত।
সালোঁয় গিয়ে ভ্রু প্লাক বা থ্রেডিং অতীত। তরুণ প্রজন্ম এখন মন দিয়েছে ‘মাইক্রো ব্লেডিং’-এ। সেই চিকিৎসা করাতে গিয়েই ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন স্লোভেনিয়ার দুই তরুণী। ‘জার্নাল অফ মেডিক্যাল কেস রিপোর্ট’-এ এই সমস্যার প্রথম উল্লেখ পাওয়া গেল।
জানা গিয়েছে, ভ্রুর রেখা ঘন করাতে আজকাল অনেকেই ‘মাইক্রো ব্লেডিং’ করান। এই পদ্ধতি অনেকটা ট্যাটু করানোর মতোই। পাতলা ব্লেডের মতো একটি যন্ত্র আর রাসায়নিক দেওয়া রং দিয়ে ভ্রুর সরু রেখা ঘন করা হয়। যা করাতে গিয়ে দুই তরুণী আক্রান্ত হয়েছেন ফুসফুসের অটো ইমিউন রোগে। এই রোগে আক্রান্ত হলে ফুসফুসের দেওয়াল পুরু হতে শুরু করে। যার ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। ফুসফুসে ছোট ছোট টিউমারের মতো নডিউল হতে দেখা যায়।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রো ব্লেডিং করানোর পর ওই দুই তরুণীর ভ্রুতে হঠাৎ লালচে রঙের অবাঞ্ছিত কিছু দেখা যায়। তড়িঘড়ি দু’জনেই চিকিৎসকের কাছে ছোটেন। ত্বকের ওই অংশের বায়োপ্সি করে দেখা যায় তাঁরা দু’জনেই ‘সারকোয়ডোসিস’-এ আক্রান্ত। ফুসফুসের ‘এক্স-রে’-তে ধরা পড়ে ছোট ছোট অসংখ্য নডিউল। চিকিৎসকেরা জানান, এই রোগ সম্ভবত মাইক্রো ব্লেডিং-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেই হয়েছে।
‘সারকোয়ডোসিসে’ আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?
১) এই রোগে আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্টের সঙ্গে রোগীর জ্বরও হতে পারে।
২) অল্প পরিশ্রমেও ক্লান্তি গ্রাস করতে পারে।
৩) সারা শরীরে যন্ত্রণা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা হয়।
৪) অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে যেতে পারে।
৫) ঠান্ডা না লাগলেও কাশি কিছুতেই কমতে চায় না।