Bizarre

শাশুড়ি-জামাইয়ের প্রেম! স্বীকৃতি দিতে বিয়ের মণ্ডপে প্রাক্তন স্ত্রীর কন্যাদান শ্বশুরমশাইয়ের

স্ত্রী-হারা যুবকের সঙ্গে ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল তাঁর শাশুড়ির। সম্পর্ক কতটা গভীর তা জানাজানি হতেই যুগলের বিয়ের ব্যবস্থা করেন যুবকের শ্বশুর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১২
Share:

ছবি: ফ্রিপিক।

স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই বড্ড একলা হয়ে পড়েছিলেন যুবক। একাকিত্ব কাটাতে প্রায়ই শাশুড়িমায়ের সঙ্গে সময় কাটাতেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই সঙ্গ ভালবাসায় পরিণত হয়। ওই যুবক শাশুড়ির প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করেন। তবে, এ নিয়ে বিশেষ লুকোছাপা করেননি তিনি। মনের কথা শাশুড়িকে জানিয়েও দিয়েছিলেন। প্রৌঢ়াও যে প্রথমটায় বিশেষ আপত্তি করেছেন, তা নয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দু'জনের। সেই প্রণয় থেকেই অবশেষে পরিণয়! কিন্তু এখানেই শেষ নয়। শাশুড়ি ও জামাইয়ের এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাঁদের বিয়ে দিলেন যুবকের শ্বশুর। কন্যাদান করলেন তিনিই!

Advertisement

বিহারের হিরামতি গ্রামের ঘটনা এটি। গ্রামের বাসিন্দা দিলেশ্বর দারভের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কাটোরিয়া থানা এলাকার ধোবনি গ্রামের বাসিন্দা সিকন্দর যাদবের। সম্প্রতি সিকন্দরের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে জামাইযের যাতায়াত লেগেই ছিল।

দিনের পর দিন সেখানে থেকেও যেতেন। তখন থেকেই শাশুড়ি গীতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে সিকন্দরের। প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্বই দেননি দিলেশ্বর। ধীরে ধীরে তাঁর সন্দেহ বাড়তে থাকে। এক বার কোনও কাজে গ্রামের বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে স্ত্রী ও জামাইকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন শ্বশুরমশাই।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে দিলেশ্বরই গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন। গ্রামে বিচারসভা বসে। সেখানে সিকন্দর প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেন, তিনি শাশুড়িকে ভালবাসেন। তাঁকে বিয়ে করতে চান। সিকন্দরের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করতে পারেননি গীতাও। তার পরেই শাশুড়ির সঙ্গে জামাইকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েতের নির্দেশেই রেজিস্ট্রি করে চার হাত এক হয়। শাশুড়িকে সিঁদুর পরান সিকন্দর। সেখানেই প্রাক্তন স্ত্রীর কন্যাদান করেন দিলেশ্বর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement