— প্রতীকী ছবি।
যত ক্ষণ ফাঁকা রাস্তায় বাস বা গাড়ি চলছে, তত ক্ষণ ঠিক আছে। কিন্তু সিগন্যালে যখনই গাড়ি দাঁড়ায়, তখনই শরীরে অস্বস্তি হতে শুরু করে। জ্যামে আটকে থাকা গাড়িঘোড়ার আওয়াজে অনেকেরই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, তীব্র যানজট এবং সেই কারণে সৃষ্ট শব্দদূষণের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের যোগ রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রাস্তার সিগন্যাল কিংবা যানজটে আটকে থাকা গাড়ির আওয়াজে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
দিন দিন বাড়তে থাকা হার্ট অ্যাটাক এবং সে সংক্রান্ত রোগের জটিলতা নিয়ে গবেষণা করতে শুরু করেছিল বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল। সেই গবেষণা থেকেই জানা যায়, যানবাহনের শব্দের সঙ্গে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ক রয়েছে। পাশাপাশি গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই শব্দদূষণের মাত্রা প্রতি ১০ ডেসিবেল বাড়লে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও ৩.২ শতাংশ করে বাড়তে থাকে। শুধু কি তা-ই! ভয়ঙ্কর এই আওয়াজ অনিদ্রাজনিত সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ছাড়া স্ট্রেস হরমোন, অর্থাৎ কর্টিজ়লের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। যা পরবর্তী কালে প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।
হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। তবে, তার মধ্যে অন্যতম হল যানবাহনের আওয়াজ। তেমনটাই জানিয়েছেন গবেষণা প্রধান এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের অধ্যাপক মি থমাস মানজ়ল। তাঁর কথায়, “আমাদের গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত। শুধু তো হার্ট অ্যাটাক নয়, তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শরীরে নানা কার্যকলাপ। অনিদ্রা থেকে ডায়াবিটিসের উপরেও প্রভাব পড়তে পারে।”
তবে, এই গবেষণা থেকে একটি ভাল দিকও জানতে পারা গিয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, যানবাহন থেকে সৃষ্ট শব্দদূষণ ৩ থেকে ৬ ডেসিবল পর্যন্ত কম হতে পারে, যদি রাস্তা তৈরির সময়ে ‘অ্যাসফাল্ট’ নামক রাসায়নিকটি ব্যবহার করা হয়।