বন্ধুর বিয়েতে সাজুন করিনার মতো। ছবি: সংগৃহীত।
বৈশাখ মাসের অর্ধেক পেরিয়ে গিয়েছে। তবুও কালবৈশাখীর দেখা নেই। ভ্যাপসা গরম। দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে প্রাণ অতিষ্ঠ শহরবাসীর। তাই বলে কি বিয়ের দিন পিছিয়ে যাচ্ছে? না কি বিয়ের ভোজ থেকে রগরগে খাসির ঝোল বাদ পড়ছে? সবই যখন হচ্ছে, তখন সাজগোজই বা হবে না কেন? বন্ধুর বিয়েতে শা়ড়ি পরার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তখন তো বুঝতে পারেননি, কলকাতা হঠাৎ ‘মরুশহর’ হয়ে যাবে। এখন এই গরমে সিল্ক গাদোয়াল, ইক্কত কিংবা কাঞ্জিভরম— যা-ই পরুন না কেন, সামাল দেওয়া যাবে না। তার উপর যদি চুল খুলে রাখেন, তা হলে তো কথাই নেই। কিন্তু বিয়েবাড়িতে আরাম হবে বলে সুতির ছাপা কিংবা মলমল পরে যাওয়া যাবে না। তা হলে কী করবেন? সমাধান বাতলে দিয়েছেন অভিনেত্রী করিনা কপূর খান।
কপূর পরিবারে কারও জন্মদিনের পার্টি হোক বা উৎসব অনুষ্ঠান, সবেতেই মোহময়ী রূপে ধরা দেন অভিনেত্রী করিনা কপূর খান। সাবেকি শাড়ি হোক কিংবা পাকিস্তানি স্যুট, সবেতেই অনন্যা পটৌডী বাড়ির বৌরানি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। পরনে ছিল সোনালি কাজ করা, সাদা রঙের আনারকলি-চুড়িদার। কামিজের গলায় সোনালি পাইপিং-এর কাজ। বুক-পিঠে সোনালি রঙের ঠাসা জরির কাজ করা। দেখলে মনে হতে পারে, যেন উপর থেকে জ্যাকেট চড়ানো হয়েছে। আসলে তা নয়, তা কামিজের সঙ্গেই সেলাই করা। লম্বা ঝুলের কামিজ়ের সঙ্গে ছিল চুড়িদার পাজামা। গলায় সোনালি পাড়ের সাদা ওড়না। পায়ে সাদা, সোনালি কাজের জুতি।
পোশাকের গলা কিংবা বুকের কাছে জমকালো কোনও কাজ থাকলে সাধারণত বেশি ভারী গয়না পরার প্রয়োজন হয় না। তবে গলা, কাঁধ এবং কানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে একটু বড় ঝুমকো পরলে দেখতে ভাল লাগে। করিনার কানেও ছিল কাঁধ-ছোঁয়া তেমন একজো়ড়া দুল। সোনালি রঙের ঝুমকোর নীচে একেবারে ছোট, সাদা রঙের বেশ কয়েকটি মুক্তো। শহরের উষ্ণতা যতই মাত্রা ছাড়াক, এমন সাজে আপনাকে লাগবে স্নিগ্ধ। গরমে চুল খুলে রাখতে না চাইলে সুন্দর করে খোঁপা বা বান করে নিতে পারেন। হালকা মেকআপ, ন্যুড লিপস্টিক, স্মোকি আইজ় এবং কপালে ছোট্ট টিপ— ব্যস, বিয়েবাড়ির সাজ কমপ্লিট!