মেদ ঝরাতে সাবুর খিচু়ড়ি খান? ছবি: সংগৃহীত।
উপোস থাকলেই মা-কাকিমারা দুধে ভেজানো সাবু বা সাবুর খিচুড়ি খেয়ে থাকেন। ছোটবেলায় জ্বর হলেই জোর করে দুধ-সাবু খাওয়াতেন মায়েরা। তখন খেতে ভাল না লাগলেও এখন হাসিমুখেই খেয়ে ফেলেন অনেকে। কারণ, এই সাবু এখন ডায়েটের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ডায়েট করার প্রথম শর্তই হল বাইরের খাবার না খাওয়া। প্রতি দিন কাজে বেরোনোর আগে বা বাড়ি ফিরে এমন রান্না করতে হবে, যা চটজলদি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সাবু অনেকেরই পছন্দের একটি খাবার। সাবু একেবারেই ‘গ্লুটেন’মুক্ত। তাই শুধু উপোস করেই নয়, স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই সাবু খেয়ে থাকেন শরীরের কথা ভেবে। কিন্তু সাবু কি সত্যিই স্বাস্থ্যকর? সাবুতে আদৌ কোনও পুষ্টিগুণ আছে কি?
সাবুর খিচু়ড়ি অনেকেরই পছন্দের একটি খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
রান্না বিশারদ এবং ‘মশালা ল্যাব: দ্য সায়েন্স অফ ইন্ডিয়ান কুকিং’ বইটির লেখক এবং প্রভাবী ক্রিশ অশোক সম্প্রতি তাঁর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সাবুর গুণাগুণ বিষয়ে। তাঁর মতে, “সাবুতে স্টার্চ ছাড়া এমন আর কোনও গুণই নেই, যা শরীরের কাজে লাগতে পারে।”
উপোস করলে সাবুর মতো খাবার খাওয়া ভাল। কারণ সাবুতে থাকা স্টার্চ রক্তে শর্করার মাত্রা সামান্য হলেও বাড়িয়ে দেয়। অশোক বলছেন, “সাবুর উৎস আসলে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ১৯৪০ বা ১৯৫০-এর কাছাকাছি সময়ে তা ভারতে পদার্পণ করে। সেই থেকে আমাদের দেশে সাবুর রমরমা।”
অনেকে আবার সাবুর বদলে ময়দা দিয়ে তৈরি খাবারও খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সাবুর বদলে ময়দা কোনও মতেই পুষ্টিকর বিকল্প হতে পারে না। ময়দা, সাবু— দু’টি খাবারই ‘রিফাইন্ড’। তাই এই ধরনের খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণে হেরফের ঘটাতে পারে। তা ছাড়া সাবুর ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ অনেকটাই বেশি। তাই ডায়াবিটিস আক্রান্তদের জন্য এই খাবার মোটেও ভাল নয়। এ ছাড়াও বিপাকহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগগুলিও বেড়ে যেতে পারে। তবে রক্তে শর্করা নিয়ে যদি কোনও সমস্যা না থাকে, সে ক্ষেত্রে সাবু খাওয়া যেতেই পারে।