(বাঁ দিকে) সোহিনী সরকার। অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলির অন্যতম হল জামদানি। সাদা হোক কিংবা রঙিন— একটা জামদানি শাড়ি পরে নিলে বিয়েবাড়ি থেকে জন্মদিন বাড়ি, অফিস পার্টি থেকে দুর্গাপুজো, সব অনুষ্ঠানেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন অন্যন্যা।
জামদানি শাড়ির মহিমা অবশ্য শুধু বাংলায় আটকে নেই। কলকাতা-ঢাকা ছাড়িয়ে তা গিয়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। বিদ্যা বালন, সোনম কপূর, রানি মুখোপাধ্যায়, কাজলের মতো বলিউডের তারকাদেরও মাঝেমধ্যেই দেখা যায় জামদানি শাড়ি পরতে। প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় জামদানি শাড়ি পরে নজর কেড়েছিলেন সবার। কান চলচ্চিত্র উৎসবে জামদানি শাড়ি পরে আবার আলোড়ন তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। সম্প্রতি ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবিতে কৌশিক সেনের সঙ্গে বিয়ের দৃশ্যে জয়া আহসানের পরনের বেগনি জামদানিটিও নজর কেড়েছে সকলের।
জামদানি শাড়ি মূলত দু’ধরনের। সুতির জামদানি ও মসলিন জামদানি। বাজারে এখন ৬০০ টাকা থেকেও জামদানি পাওয়া যায়। তবে ভাল মানের সুতির জামদানি পেতে হলে ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে। আর ভাল মানের মসলিন জামদানি পেতে হলে খরচ পড়বে ৬০০০- ৮০০০ টাকা। দাম দিয়ে জামদানি কিনলেও সেই শাড়ি খুব বেশি পরা হয় না। জামদানি শাড়ির যত্ন না নিলে কিন্তু সেই শাড়ি ফেঁসে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না। মা-দিদিমার আলমারিতে রাখা জামদানি শাড়িগুলিই যত্নে রাখলে সেই শাড়ি ভবিষ্যতে আপনিও পরতে পারবেন।
অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে নেবেন সাধের জামদানির যত্ন?
১) জামদানি শাড়ি ‘ড্রাই ওয়াশ’ করানোই শ্রেয়। এতে শাড়ির মান ভাল থাকে। একান্তই যদি বাড়িতে ধুতে হয়, তা হলে তরল সাবানে খানিক ক্ষণ ডুবিয়ে রেখে ঠান্ডা জলে ভাল করে ধুয়ে নিতে পারেন। গরম জল ভুলেও ব্যবহার করবেন না।
২) জামদানি শাড়ির উপর কোনও চা, কফি, কোনও পানীয় কিংবা কোনও খাবার পড়ে গেলে পুরো শাড়িটি ধোয়ার প্রয়োজন নেই। যে অংশে দাগ লেগেছে, সেখানে সামান্য টুথপেস্ট জলে গুলে শাড়ির দু’পিঠেই মাখিয়ে রাখুন। দিন দুয়েক পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাগ চলে যাবে।
৩) জামদানি বাড়িতে ধুলে ধোয়ার পর সেই শাড়ি নিংড়োবেন না, কলের উপর রেখে দিন। জল ঝরে গেলে রোদ নেই, এমন জায়গায় শুকোতে দিন।
৪) শাড়ি ইস্ত্রি করার সময়েও সতর্ক থাকতে হবে। শাড়ি উল্টো করে তার উপর সুতির পাতলা কাপড় রেখে ইস্ত্রি করুন। তবেই শাড়ির মান ঠিক থাকবে।
৫) শাড়ির উপর সরাসরি পারফিউম লাগাবেন না, এতে শাড়ির উপর দাগ ধরে যেতে পারে। মাঝে মাঝেই শাড়ির ভাঁজ খুলে হাওয়ায় শুকোতে দিন। তবে সরাসরি রোদ যাতে না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।