নিয়মিত ব্যায়াম করলে কী কী খেতেই হবে, জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
শরীরচর্চা নিয়মিত করলে তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়াও ঠিকমতো করতে হবে। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান বা বাড়িতেই যোগাসন—শরীরচর্চার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত সঠিক খাদ্যাভ্যাস। নিয়মিত শরীরচর্চার সঙ্গে সঙ্গে কী খাবেন, কতটা খাবার খাবেন এবং কখন খাবেন তার সামগ্রিক বিন্যাসের উপরেই নির্ভর করে স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি। এখন যে বিষয়টা নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়, তা হল শরীরচর্চার আগে খাওয়া উচিত না কি পরে। অনেকেই ভাবেন খালি পেটে ব্যায়াম করাই ভাল। তবে পুষ্টিবিদেরা পরামর্শ দেন, ব্যায়ামের আগে-পরে খাবারে প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন ঠিক মাত্রায় না থাকলে ক্ষতি হবে শরীরেরই।
ব্যায়াম শুরু করার আগে
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, সকাল সকাল শরীরচর্চা করলে ব্যায়াম শুরুর অন্তত ১০-১৫ মিনিট আগে শুকনো ফল কিংবা বাদাম জাতীয় খাবার খেতে পারেন। সন্ধ্যার সময় শরীরচর্চা করতে চাইলে, বিকেলের খাবার খেতে হবে অন্তত এক ঘণ্টা আগে।
ব্যায়াম শুরুর আগে পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। শরীরে জলের ঘাটতি হলে পেশিতে টান লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মনে রাখবেন শরীরচর্চার আগে চা বা কফি জাতীয় পানীয় পান করা উচিত নয়।
ব্যায়ামের পরে
১) ব্যায়াম করলে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে যথেষ্ট পরিমাণ জল খাওয়া প্রয়োজন। প্রতি দিন শরীরচর্চার পরে কিছু ক্ষণ অন্তর জল খেতে হবে।
২) বাড়িতে দই বা দুধ যা-ই থাকুক, তার সঙ্গে পছন্দের কিছু ফল মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।
৩) ব্যায়ামের পরে পেশির ক্লান্তি দূর করার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতেই হবে। অন্তত একটি সিদ্ধ ডিম বা ডিমের পোচ খাওয়া ভাল।
৪) নিরামিষ খান যাঁরা, তাঁদের জন্য সয়াবিন খুব উপকারী। এক কাপের মতো সয়াবিন থেকে অন্তত ২৯ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যাবে।
৫) কিনোয়া, বেসনের চিল্লা, পালংশাক, বিটরুট বা মাল্টিগ্রেন আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে রাখুন সব্জি, চিকেন বা মাছ বা ডিম।
৬) বাদামের জুড়ি মেলা ভার। আখরোট, কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
৭) ছাতুর শরবতও খেতে পারেন। তা যেমন পুষ্টি দেবে, তেমনই পেটও ভরা থাকবে অনেক ক্ষণ। ব্যায়ামের পরে আর ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছা হবে না।
শরীর চাঙ্গা রাখতে ব্যায়াম করার আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে খাবার খেতে হবে। প্রত্যেকের শরীর আলাদা, শরীরচর্চার ধরনও আলাদা, এর পাশাপাশি শরীরভেদে পুষ্টিগুণের চাহিদাও ভিন্ন। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতোই খাওয়া উচিত।