তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ (সিএইচডি)-র হানা ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। প্রতীকী ছবি।
ভারতের তরুণ প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। ‘কার্ডিয়োলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া’-র সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা এমনটাই জানাচ্ছে। সারা ভারতের প্রায় ৫০০০ জন চিকিৎসকের করা একটি পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ ছাড়াও স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যেও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ’ (সিএইচডি)-র হানা ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
সমীক্ষা বলছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর হার ভারতে সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসকদের মতে, জীবনযাত্রার ধরন হৃদ্রোগের একটি বড় কারণ। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁক, শরীরচর্চা না করা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অত্যধিক পরিমাণে কায়িক পরিশ্রম করা— এমন কিছু কারণে হার্টের অসুখ ক্রমশ বাড়ছে। এ ছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত হারে মোবাইলের ব্যবহার, চিনি খাওয়ার অভ্যাসও হৃদ্রোগের কারণ হয়ে উঠছে। অতিরিক্ত ধূমপানও ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ’-এর কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অতিরিক্ত ধূমপানও ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ’-এর কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রতীকী ছবি।
স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ মোবাইলের সংস্পর্শে বেশি ক্ষণ থাকা। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের ঝোঁক খুব বেশি। সমীক্ষা বলছে, অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।
নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে ব্যথা, মানসিক অবসাদ, পা ও হাত ফুলে যাওয়া, ক্রমাগত কাশি, বমি বমি ভাব, হৃদ্স্পন্দনের হার কমে যাওয়া— ‘সিএইচডি’-র অন্যতম লক্ষণ।