পিঠে আচমকা টান ধরলে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
ঘুমের মধ্যে বা একটানা অনেক ক্ষণ বসে বা শুয়ে থেকে ওঠার সময়ে পিঠ ও পায়ের পেশিতে টান ধরে। আবার ধরুন, অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ করছেন, আচমকাই পিঠের পেশিতে টান ধরতে পারে। তখন মনে হবে, যন্ত্রণায় টনটনিয়ে উঠছে পিঠ। পেশির টান আপনা থেকেই ছেড়ে যায় বেশির ভাগ সময়ে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অসাড় ভাবটা কেটে যাওয়ার পরেও ব্যথা থেকে গিয়েছে। অনেকের আবার ঘন ঘন পিঠে বা কোমরে টান ধরে। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? কী ভাবে যন্ত্রণা থেকে আরাম পাবেন?
এই বিষয়ে অস্থি চিকিৎসক সুব্রত গড়াই বলেন, “পেশিতে টান ধরা অন্যতম কারণই হল শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া। জল কম খেলে তখন পেশির স্থিতিস্থাপকতায় ব্যাঘাত ঘটে। তখন পেশিতে টান ধরে। অনেক সময়ে পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে গেলে বা ভিটামিন ও পটাশিয়ামের অভাব হলেও পেশিতে টান ধরতে পারে।”
পিঠে টান ধরলে কী করবেন?
১) পেশিতে টান ধরলে সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত জায়গায় বরফসেঁক দিলে ভাল হয়। বরফ হাতের কাছে না পেলে যদি ঠান্ডা জলের বোতল থাকে, তা-ও কিছু সময়ের জন্য পিঠে ধরে রাখুন। তাতেও আরাম পাবেন।
২) পেশিতে টান ধরলে উষ্ণ জল খান আর হাঁটাহাঁটি করুন, দেখবেন দ্রুত পেশি সচল হবে।
৩) একনাগাড়ে কাজ না করে সাময়িক বিরতি নিতে হবে।
৪) হালকা ‘স্ট্রেচিং’ করলে আরাম পেতে পারেন। পিঠে ব্যথা হলে সব ধরনের ব্যায়াম করা যায় না। কিন্তু পেশিতে টান ধরার সমস্যা দূর করতে হলে অল্প অল্প করে হাত-পা ছড়ানোর চেষ্টা করতেই হবে। বিশেষ করে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে যদি পায়ের আঙুল ছোঁয়ার চেষ্টা করেন, তবে আরাম মিলবেই।
৫) ঘন ঘন পিঠের পেশিতে টান ধরলে হাতের কাছে বৈদ্যুতিন হিটিং প্যাড রাখতে পারেন। গরম সেঁক দিতে পারলে ব্যথা অনেক কমে যাবে।
৬) পিঠ-কোমরের ব্যথায় খুব আরাম দেয় ইউক্যালিপটাস তেল। মাংসপেশিতে ব্যথা হলে আলতো করে মালিশ করতে পারেন এই তেল। পিঠ, হাঁটুর ব্যথা, গেঁটে বাতে ইউক্যালিপটাস তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়। অফিস ডেস্কে রেখে দিতে পারেন ইউক্যালিপটাস তেল।