কয়েকটি টোটকা জানা থাকলে সাধারণ খাবারও হয়ে উঠতে পারে সুস্বাদু। প্রতীকী ছবি।
বাঙালি ভোজনরসিক। ছুটির দিনে কব্জি ডুবিয়ে না খেলে যেন মন ভরে না। ঘরের তেলমশলাদার খাবার থেকে রেস্তরাঁয় ভূরিভোজ, বাদ যায় না কিছুই। কিন্তু স্বাদের খেয়াল রাখতে রাখতে স্বাস্থ্যের সঙ্গে সমঝোতা করলে চলবে না! ডায়াবিটিস থেকে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ থেকে হৃদ্রোগ— বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই। তাই অনেকেই এখন তেলমশলা ছেড়ে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকছেন। তাতে আবার শরীর ভাল থাকলেও, স্বাদের খেয়াল রাখা হচ্ছে না। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি টোটকা জানা থাকলে সাধারণ খাবারও হয়ে উঠতে পারে সুস্বাদু।
লেবুর স্পর্শ
খুব একটা স্বাদ নেই, এমন খাবারেও যদি কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে স্বাদ ফিরতে পারে। ধরুন সেদ্ধ মাছ খাচ্ছেন, তবে সেই মাছে নির্দ্বিধায় একটু লেবু চিপে নিন। একই কৌশল প্রয়োগ করতে পারেন স্যালাডের ক্ষেত্রেও। সকালের জলখাবারের সঙ্গে কমলালেবুর রস খাওয়া স্বাদ ও স্বাস্থ্য, দুইয়ের পক্ষেই ভাল। তবে এই কৌশলে আপাত স্বাদহীন খাবারও একটু টক টক হয়ে উঠবে।
মুখরোচক সব্জি
একঘেয়ে তরকারি খেয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লে, সব্জির ঝোল না করে ভাজা বা বেক করার চেষ্টা করুন। বাড়িতে যদি এয়ার ফ্রায়ার থাকে, তবে পছন্দের সব্জিতে অলিভ অয়েল এবং নুন মাখিয়ে এয়ার ফ্রাই করতে পারেন। সঙ্গে যদি পেঁয়াজ-রসুন মিশিয়ে নেন, তবে স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
ফ্যাট যেন কম থাকে
যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা অতিরিক্ত ফ্যাট, ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার থেকে দূরে থাকেন৷ কিন্তু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পরিমিত পরিমাণে খেলে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অলিভ অয়েল, পিনাট বাটার, অ্যাভোকাডো, চিয়া বীজ বা কাঠবাদাম খেতে পারেন নিয়ম মেনে। বিশেষ করে জলখাবারের সঙ্গে এই ধরনের খাবার মিশিয়ে নিতে পারেন।
মশলার কারসাজি
তেলমশলা কমানো মানেই খাবারের স্বাদ কমে যাবে, এমন নয়। রান্নার উপর দিয়ে মশলা ছড়িয়ে দিলেই খাবার আর বিরক্তিকর লাগবে না। সাধারণ খাবারের মধ্যেই দিয়ে দিন রসুনকুচি। স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণ, দুই-ই বাড়বে। বিভিন্ন তাজা ভেষজ কিংবা গোলমরিচও গুঁড়োও ছড়িয়ে দিতে পারেন উপরে। খাবারের স্বাদ বাড়বে।