চেনা উপসর্গগুলিই ইঙ্গিত দেয় মারণরোগের। প্রতীকী ছবি।
পেটখারাপ কিংবা জ্বর হলে বাইরে থেকে কিছু উপসর্গ দেখে অসুস্থতা ধরা যায়। কিন্তু ক্যানসারের ক্ষেত্রে বিষয়টি এত সহজ নয়। নিঃশব্দে শরীরের অন্দরে বাসা বাঁধে এই মারণরোগ। যখন টের পাওয়া যায়, তত ক্ষণে বহু দেরি হয়ে গিয়েছে। তাই চিকিৎসকদের মতে, শরীরে কোনও রোগ জন্ম নিলে তার কিছু না কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবেই। সে বিষয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। ফলে সাধারণ কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা এড়িয়ে যান। এই চেনা উপসর্গগুলিই ইঙ্গিত দেয় মারণরোগের। কোন সাধারণ উপসর্গগুলি আসলে ক্যানসারের ইঙ্গিত বহন করছে?
রাতে জ্বর আসা
সর্দি-কাশি, জ্বরের সমস্যা অহরহ লেগেই থাকে। ভরা গ্রীষ্মেও জ্বরে ভোগেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে ঋতুবদলের কারণে ঠান্ডা লেগেই জ্বর হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রায়ই রাতে জ্বর আসার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঘন ঘন রাতে জ্বর আসার লক্ষণ কিন্তু ভাল নয়। ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। চিকিৎসকের সঙ্গে এক বার কথা বলে নেওয়া জরুরি।
ত্বকে পরিবর্তন
ত্বকের বর্ণ কি হঠাৎ একটু অন্য রকম লাগছে? অন্য কোনও রং ধারণ করেছে? সে ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। ত্বকের এমন হঠাৎ বদল ত্বকের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। শরীরের কোনও অংশে হঠাৎ জন্ম নেওয়া কোনও ফুসকুড়িও কিন্তু বিপদের লক্ষণ হতে পারে। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া জরুরি।
শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা
হাঁটু থেকে কোমর— দীর্ঘ দিন ধরে শরীরের বেশ কিছু অংশে ব্যথা হলে তা ক্যানসারের মতো রোগের উপসর্গ হতে পারে। কোনও কারণ ছাড়াই এই ধরনের ব্যথা-বেদনা হতে থাকলে, ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
অতিরিক্ত দুর্বলতা থাকলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। আবার যাঁদের অ্যাজ়মা রয়েছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়েই থাকে। এমনকি, হৃদ্রোগ থাকলেও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। তবে এগুলি ছাড়াও শ্বাসকষ্টের আরও একটি নেপথ্য কারণ হতে পারে ক্যানসার। কথা বলতে গেলে কিংবা একটু হাঁটাচলা করলেই কি এই সমস্যা হচ্ছে? তা হলে ফেলে না রেখে সতর্ক হোন।
ওজন কমে যাওয়া
ডায়েট করে ওজন কমানো আর কোনও কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়ার মধ্যে তফাত আছে। রোগা হওয়ার জন্য কম চেষ্টা করেন না অনেকেই। দীর্ঘ সাধনার পর তবে ওজন ঝরে। কিন্তু কোনও ডায়েট আর শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া একেবারেই ভাল লক্ষণ নয়। শরীরে কোনও মারণরোগ বাসা বাঁধতে পারে ।