জিমে যাওয়ার সময় নেই। ওজন ঝারাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর সময় জমিয়ে পেটপুজো তো হল। কিন্তু, এ বার বাড়তি ওজন ঝরবে কী ভাবে? খাওয়াদাওয়ায় না হয় লাগাম টানলেন, কিন্তু জিমে যাওয়ার সময় কই?
চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীর সুস্থ রাখতে, মেদ ঝরাতে হাঁটাহাটিও বেশ ভাল। এতে হার্ট ভাল থাকে, মাংসপেেশি মজবুত হয়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি সমীক্ষা বলছে, দিনে ১০ হাজার পা হাঁটতে পারলে শরীর সুস্থ থাকবে। কিন্তু সংসার-অফিস সামলে হাঁটবেন কখন, তা নিয়ে ভাবনা? সদিচ্ছা থাকলে কাজের ফাঁকেও হাঁটাহাটি করা যায়। জেনে নিন ওজন বশে রাখার কৌশল।
খাওয়ার পরে হাঁটুন
অফিসে রয়েছেন। দুপুরের খাবারের পর ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে সামনের রাস্তা কিংবা অফিস চত্বরে হেঁটে নিতেই পারেন। চাইলে এই সময়টায় বাইরের কাজও সেরে নিতে পারেন। কাজের ফাঁকে নিজেকেই সময় বার করতে হবে। শুধু দুপুর নয়, বিকেল-সন্ধ্যাতেও পারলে মিনিট পাঁচেক হেঁটে নিতে পারেন। আর রাতে বাড়ি ফিরে হাঁটতেই হবে।
বারান্দায় হাঁটুন
বাড়িতে থাকলে দুপুরে খাওয়ার পর ভাতঘুম দেওয়ার ইচ্ছা হয়। ওজনবৃদ্ধির নেপথ্যে অন্যতম কারণই হল সুখের ঘুম। খাওয়ার পর হোক বা বাড়ির কাজকর্মের ফাঁকে মিনিট ১০ সময় বার করুন, বারান্দাতেই পায়চারি সেরে নিতে পারেন। বিকেলের দিকে হলে ছাদ কিংবা বাড়ির আশপাশেই হেঁটে নিতে পারেন।
ফোন করতে করতে হাঁটুন
অফিস হোক বা বাড়ি, ব্যক্তিগত কাজের ফোন হোক বা বন্ধুর সঙ্গে খোশগল্প, সেই সময় বিছানা, শোফা কিংবা চেয়ারে গা এলিয়ে না দিয়ে কথা বলতেই বলতেই হাঁটুন। কথা বলতে বলতে ২০-৩০ মিনিট নিমেষে কেটে যায়। সেই সময়টা অনেকটা হাঁটাহাটি হয়ে যাবে। আবার হাঁটার জন্য বাড়তি সময় ব্যয় করতে হবে না।
সিঁড়িতে ওঠানামা
অফিস ৭ তলায়? ফ্ল্যাট ৪ তলায়? ৪ তলা পর্যন্ত লিফটে উঠে, বাকি ৩ তলা সিঁড়িতেই উঠুন। বাড়িতেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। আর নামার সময় যতটা পারেন লিফ্ট এড়িয়ে চলুন। কাজের ফাঁকেই তা হলে শরীরচর্চা হয়ে যাবে।
ঘণ্টায় ঘণ্টায় হাঁটুন
অফিসে কাজের চাপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ার ছেড়ে ওঠাই হয় না? এমন না করে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৫ মিনিটের বিরতি নিন। সেই সময়টা শৌচালয়ে যেতে পারেন কিংবা বারান্দায় গিয়ে একটু হেঁটে নিতে পারেন। ১০ হাজার পা হাঁটতে চাইলে ছোট ছোট পদক্ষেপও কার্যকর হতে পারে। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময়, মিনিট দশেক দূরে কোথাও নেমে, সেই পথটুকুও হেঁটে নিতে পারেন।