— প্রতীকী চিত্র।
শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে স্নান করতে গিয়ে বা পুলে সাঁতার কাটতে কাটতে কানে জল ঢুকে যায় হামেশাই। জল ঢুকে বেশ কিছু ক্ষণ কানের ভিতর ফড়ফড় করে। এমন অস্বস্তি হয় যে, মনে হয় যেন কানের মধ্যে কোনও পোকামাকড় ঢুকেছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যে কানে জল ঢুকেছে, সেই দিকে মাথা হেলিয়ে রাখলেই সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু তা না হলে দেখা যায় কানে ‘ইয়ারবাড’ বা আঙুল ঢুকিয়ে খোঁচা দেন অনেকে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কানে জল ঢুকে যত না ক্ষতি হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা কানে কাঠি বা আঙুল দিয়ে খোঁচা দিলে।
কাঠি বা ‘বাড’ দিয়ে খোঁচা দিলে কানের মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়াগুলি আরও গভীরে প্রবেশ করতে থাকে। ফলে ককলিয়াতে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সামান্য দু’-তিনটি জিনিস। একটি পরিষ্কার শুকনো তোয়ালে এবং সার্জিকাল স্পিরিট বা রাবিং অ্যালকোহল এবং সাদা ভিনিগার।
কী ভাবে কানের জল বাইরে বার করবেন?
প্রথমে শুকনো একটি তোয়ালে দিয়ে কানের আশপাশ পরিষ্কার করে নিন। এ বার স্পিরিট এবং ভিনিগার সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। ড্রপারের সাহায্যে কয়েক ফোঁটা কানের ভিতর দিন এই মিশ্রণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই মিশ্রণ সাহায্যে কানের ভিতরে জমে থাকা জল সহজেই উবে যায়। জল জমে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটাই কমে যায়। তবে যাঁদের কর্নকুহ্বরে আগে থেকেই কোনও রকম সংক্রমণ হয়ে আছে, তাঁদের এই মিশ্রণ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যদি কানের ভিতর জলে জমে গিয়ে যন্ত্রণা শুরু হয় বা শুনতে সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে সময় নষ্ট না করে আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।