রোগা জন্য সময় নিয়ে চিবোতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানোর একমাত্র পন্থা হল ডায়েট। সিংহভাগেরই এটাই ধারণা। আর তাই রোগা হওয়ার জন্য খাওয়াদাওয়াতেই জোর দেন। ডায়েট করলে যে ওজন কমে না, সেটা নয়। সঠিক নিয়ম মেনে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ডায়েট করতে পারলে পরিশ্রম বৃথা যায় না। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমানোর জন্য কী খাচ্ছেন সেটা যেমন জরুরি, তেমনই কতটা চিবিয়ে খাচ্ছেন সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সময় নিয়ে চিবিয়ে খাওয়ার রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগুণ। ঠিক করে চিবিয়ে খেলে ওজন কমানোও সহজ হয়ে যায়। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় চিবিয়ে খাওয়ার গুরুত্ব কতটা?
১) খাবার ঠিক করে চিবিয়ে খেলে হজমপ্রক্রিয়া উন্নত হয়। আর হজম ঠিকঠাক হলে বাড়তি মেদ জমতে পারে না। চিবিয়ে খাওয়ার আরও একটি সুফল হল, এর ফলে খাবারে থাকা স্বাস্থ্যগুণ শরীরের ঠিক মতো শোষণ করতে পারে।
২) তাড়াহুড়ো করে খেলে অনেকটা খাবার খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি থাকে। ধীরেসুস্থে, হাতে সময় নিয়ে চিবিয়ে খেলে এই ঝুঁকি থাকে না। পেট ভর্তি হয়ে গেলে শরীর যে ইঙ্গিত দেয়, সেটা বোঝা যায়। এতে শরীরে ক্যালোরিও কম প্রবেশ করে।
৩) ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন’-এর তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি গ্রাস খাবার যদি ৪০ বার চিবিয়ে খাওয়া হয়, তা হলে বাড়তি খাবার খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি কমে ১২ শতাংশ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া ঠিক নয়।
খাবার মুখে দেওয়ার পর ঠিক কত ক্ষণ চিবানো জরুরি?
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সেটা অনেকটাই নির্ভর করছে কী খাবার খাচ্ছেন তার উপর। তবে সাধারণ ভাবে প্রতি বার খাবার মুখে দিয়ে ৩০-৪০ বার চিবোলে ভাল হয়। তবে নরম এবং শক্ত খাবারের ক্ষেত্রে ফারাক রয়েছে। নরম খাবার অল্প চিবোলেই হয়। তবে মাংস, ভাত কিংবা রুটি সব সময় অনেক ক্ষণ ধরে চিবিয়ে খেতে হবে। তা না হলে ডায়েট করেও কমবে না ওজন।