মুখের ক্ষত নিরাময়ের সহজ উপায় ছবি: সংগৃহীত
ঠোঁটের তলায়, মুখগহ্বরের ভিতরে ছোট ছোট ঘা হলে খাওয়াদাওয়া মাথায় ওঠাই দস্তুর। কিছু দিন পর নিজে থেকে সেরে গেলেও এই ধরনের ক্ষত যত দিন থাকে, তত দিনই যন্ত্রণায় কাতর থাকেন আক্রান্ত। অনেকের আবার কিছু দিন পর পরই দেখা দেয় সমস্যা, সারতেও সময় লাগে বেশি। কিন্তু কেন তৈরি হয় এই ধরনের ক্ষত? কোন মন্ত্রেই বা মুক্তি মিলবে এই বিড়ম্বনা থেকে?
মুখের ক্ষত বা আলসারের পিছনে থাকে মূলত দু’টি কারণ। দেহের প্রয়োজনীয় কোনও উপাদানের ঘাটতি থাকলে যেমন এই ধরনের ক্ষত দেখা দিতে পারে, তেমনই বিশেষ কোনও খাবারের প্রতিক্রিয়াতেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাবারে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন সি, জিঙ্ক ও ফোলেট কম থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার টক খাবার সহ্য না হলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। পাকস্থলীতে কিছু বিশেষ ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ দেখা দিলেও মুখগহ্বরে ক্ষত তৈরি হতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
ঘরোয়া টোটকা
১। নারকেল তেল: মুখে ঘা দেখা দিলে অল্প নারকেল তেল নিয়ে কুলকুচি করার পরামর্শ দেন অনেকে। এতে কমে আসে জ্বালা-যন্ত্রণা।
২। খাবারদাবার: ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বেশি করে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, মটরশুঁটি, ডাল ও পালংশাক খেতে পারেন নিয়মিত। নিয়মিত ফল খেলেও মিলতে পারে সমাধান।
৩। জিঙ্ক-সমৃদ্ধ খাবার: কাজু, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়োর বীজ, ওট ও বিটের মতো সব্জি খেতে পারেন, এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক থাকে। ফলে জিঙ্কের ঘাটতি থেকে ঘা হলে সহজেই সেরে যাবে সেই ঘা।
তবে মনে রাখবেন, মুখের ঘা অনেক সময় গূঢ়তর কোনও সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণও। বিশেষ করে যাঁরা ধূমপান করেন কিংবা খৈনি খান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তাই এই ধরনের ক্ষত দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।