দাঁতের শিরশিরানি অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। প্রতীকী ছবি।
খাবার বেশি ঠান্ডা হোক বা গরম, মুখে তুললেই দাঁত শিরশিরানির সমস্যায় নাজেহাল? দাঁত শিরশির করার সমস্যা আপনার একার নয়। দাঁতের এই সমস্যাকে প্রথম অবস্থায় তেমন গুরুত্ব দিই না আমরা, কিন্তু অবহেলা করতে করতে সামান্য বিষয়টি বড় সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
চিকিৎসকদের কথায়, দাঁতের শিরশিরানি অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়। এনামেল ও দাঁতের রুটের নানা সমস্যার কারণে এই উপদ্রব শুরু হয়। দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু ভুলের কারণে তা আরও বাড়ে। শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে, ব্রাশ করার ভুলে বা দাঁত ভেঙে গেলে এমন সমস্যা হয়। ফিলিং অনেক পুরনো হলেও এমনটা হতে পারে।
টুথব্রাশ, টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশ পাল্টেও সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না? চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পাশাপাশি মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়। এতেও সমাধান মিলতে পারে।
লবঙ্গ তেলে ইউজেনল থাকায় এটি দাঁতের ব্যথা উপশম করে। ছবি: সংগৃহীত।
লবঙ্গ তেল: লবঙ্গ তেল দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখলে বিশেষ উপকার পাবেন। ইউজেনল থাকায় এটি দাঁতের ব্যথা উপশম করে। গ্রিন টি-তে লবঙ্গ ফেলে সেই মিশ্রণ দিয়ে কুলকুচি করলেও আরাম মেলে।
নুন জল: স্রেফ নুন দিয়েও কাজ সারা যায়। দাঁতের জন্য নুন-জল খুবই উপকারী। দু’বেলা নুন-জলে কুলকুচি করলে শিরশিরানির সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
মধু ও নুন: এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ মধু মেশান। সকালে মুখ ধোয়ার পর এই জল দিয়ে কুলকুচি করুন। জল মুখে রেখে নাড়াচাড়া করে ফেলে দিন। মধুর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ কমায়, শিরশিরানি থেকে মুক্তি পাবেন।
হলুদ: ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো, আধ চামচ নুন ও আধ চামচ সর্ষের তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। দিনে দু’বার সময় বার করে মাড়ি ও দাঁতে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে দিতে হবে মিনিট দশেক। তার পর মুখ ধুয়ে নিন।