Winter Depression

শীতকালে ঘন ঘন মনখারাপ হচ্ছে? কেন হয় এমন? মন ভাল রাখতে রোজ কোন আসনগুলি করবেন?

শীতকালীন মনখারাপ একটি সমস্যা। তবে এর থেকে মুক্তির কিছু উপায় রয়েছে। রোজ কোন যোগাসনগুলি করলে মনখারাপ দূর হবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৬
Share:

শীতকালীন এই মনখারাপকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘উইন্টার ডিপ্রেশন’ কিংবা ‘উইন্টার ব্লুজ’। প্রতীকী ছবি।

শীতকাল জুড়ে থাকা নানা উৎসবের সমারোহ। নতুন বছর, পৌষপার্বণ, তা ছাড়া পিকনিক, ঘুরতে যাওয়া তো রয়েছেই। এই উৎসবের ভিড়েও শীত এলে মনজুড়ে কেমন যেন জাঁকিয়ে বসে মন খারাপ। অনেকেই আছেন, যাঁরা শীতে প্রায় সব সময়েই উদাসীন হয়ে থাকেন। শীতকালীন এই মনখারাপকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘উইন্টার ডিপ্রেশন’ কিংবা ‘উইন্টার ব্লুজ’। ঠান্ডা পড়তেই এই মানসিক অবসাদকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘সিজ়ন্যাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার’।

Advertisement

ঋতুকালীন মনখারাপের বিষয়টির জন্ম হয়েছিল মূলত শীতপ্রধান দেশে। সেখানে যখনই আলো কমে আসে, ঝিরঝিরে বৃষ্টি, বরফপাত, ভীষণ ঠান্ডা, সেই দীর্ঘ শীতের মাসগুলি একটা অবসাদ চলে আসে। বহু দিন সূর্যের আলো না দেখলে মন খারাপ হতে শুরু করে। এটা যে শুধুমাত্র শীতপ্রধান দেশে সীমাবদ্ধ রয়েছে, তা কিন্তু নয়। শীত পড়লে মনখারাপ বাড়ে আরও অনেক ভৌগোলিক ঠিকানায়।

ঋতুকালীন মনখারাপের বিষয়টির জন্ম হয়েছিল মূলত শীতপ্রধান দেশে। প্রতীকী ছবি।

ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, বেশি করে খাওয়ার ইচ্ছা, দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া, সব কিছু থেকে আগ্রহ চলে যাওয়া, ভাবনাচিন্তার ব্যাঘাত ঘটা— শীতকালীন অবসাদের অন্যতম উপসর্গ এগুলি। এমন হলে কাছের মানুষ, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। সেই সঙ্গে মনের খেয়াল রাখতে নিয়ম করে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। উপকার পাবেন।

Advertisement

ত্রিকোণাসন

প্রথমে দু’টি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। হাত দু’টি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুলকে স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু দু’টি ভাঙা চলবে না। দশ অবধি গুনুন। এ বার দু’টি হাত না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একই ভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ৩ বার এই আসনটি করুন। মন শান্ত থাকবে এই আসনে।

পশ্চিমোত্তানাসন

সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দু’টি হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। হাত দু’টি গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এর পর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। আস্তে আস্তে হাত দু’টি সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার হাত দু’টি নামিয়ে নিয়ে আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান। মানসিক উদ্বেগ কমাবে এই ব্যায়াম।

মালাসন

অত্যন্ত সহজ একটি যোগাসন। এই আসনটি করতে প্রথমে মাটিতে বসুন। তার পর দুই পা দু’দিকে দিয়ে উঁচু হয়ে বসুন। দু’পা যথা সম্ভব কাছাকাছি রাখুন। হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে রাখুন। টানা ৩-৪ মিনিট এই আসনে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement