COVID-19

কোভিডের নাকের টিকা সবার জন্য নয়, কারা নিতে পারবেন? কাদের বিপদ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

বুস্টার টিকা নেওয়া থাকলে কি ভারত বায়োটেকের নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা ইনকোভ্যাক নেওয়া যাবে না? কী বললেন এনটিএজিআই-এর প্রধান এনকে অরোরা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৪৬
Share:

গত সপ্তাহেই ভারত বায়োটেকের নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা ইনকোভ্যাক ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। ছবি: শাটারস্টক।

যাঁরা ইতিমধ্যেই বুস্টার টিকা নিয়ে নিয়েছন তাঁরা ভারত বায়োটেকের নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা ইনকোভ্যাক নিতে পারবেন না। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই)-এর প্রধান এনকে অরোরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা প্রথম বুস্টার টিকা হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। যদি কেউ আগেই বুস্টার টিকা নিয়ে থাকেন তা হলে তাঁকে নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা দেওয়া হবে না। এই টিকা তাঁদের জন্য যাঁরা এখনও বুস্টার টিকা নেননি। কো-উইন পোর্টালে কেউ চতুর্থ বার কোভিড টিকার জন্য নাকে দেওয়া টিকার বুকিং করলে তা গ্রহণ করা হবে না।’’

Advertisement

এনকে অরোরা আরও বলেন, ‘‘ধরে নেওয়া যাক আপনি কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ় নিতে চান। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘অ্যান্টিজেন সিঙ্ক’ বলে একটি কথা আছে, সে ক্ষেত্রে যদি কোনও ব্যক্তিকে বার বার একটি নির্দিষ্ট ধরনের অ্যান্টিজেন দিয়ে টিকা দেওয়া হয়, তবে তাঁর শরীরে সেই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই কারণেই প্রাথমিক ভাবে এমআরএনএ টিকা ছয় মাসের ব্যবধানে দেওয়া হত। পরবর্তী সময়ে, মানুষ তিন মাসের ব্যবধানে এই টিকা নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে এই টিকা খুব বেশি সাহায্য করেনি। তাই এই মুহূর্তে কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ় নেওয়ার কোনও মূল্য নেই।’’

এই টিকা নেওয়ার পর কিছু ক্ষণের জন্য নাক বন্ধ হতে পারে, এ ছাড়া এই ভ্যাকসিনের অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

এনকে অরোরার মতে, এই টিকা কেবল কোভিডের বিরুদ্ধে নয়, শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে এমন যে কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সফল হবে। ১৮ বছর বয়েসের ঊর্ধ্বে যে কেউ এই টিকা নিতে পারেন। এই টিকা নেওয়ার পর কিছু ক্ষণের জন্য নাক বন্ধ হতে পারে, এ ছাড়া এই ভ্যাকসিনের অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

Advertisement

গত সপ্তাহেই ভারত বায়োটেকের নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা ইনকোভ্যাক ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। এ বার সেই টিকার দাম প্রকাশ্যে এল। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই টিকার এক একটির দাম পড়বে ৮০০ টাকা। তবে বেসরকারি হাসপাতালে এই টিকার দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ জিএসটি যুক্ত হবে। ফলে জিএসটি নিয়ে এই টিকার দাম দাঁড়াবে ৮৪০ টাকা। সরকারি হাসপাতাল থেকে নিলে ৫ শতাংশ জিএসটি ছাড়া এর দাম পড়বে ৩২৫ টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement