ওট্স কী ভাবে খেলে ওজন কমবে জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
চটজলদি ওজন কমাতে অনেকেই ওট্সের উপর ভরসা করেন। তবে ওট্স ঠিকমতো না খেলে লাভই হবে না। ওট্সে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার ও নানা ধরেনর খনিজ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা ওট্সে একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। অনেকেই ওট্সের পুষ্টিগুণ বাড়াতে এর সঙ্গে পছন্দের ফল মেশান। কিন্তু ওট্স খেয়েও যখন ওজন কমে না, তখন ধরেই নিতে হয়, ওট্স খাওয়ার ধরনে কোনও গলদ রয়েছে।
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, ওট্স খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। তিন রকম ভাবে ওট্স খেলে উপকার হতে পারে। সকালে জলখাবারে ওট্সের পরিজ় বানিয়ে খেতে পারেন। ওট্স সারা রাত ভিজিয়ে রেখে তার সঙ্গে ফল ও দুধ মিশিয়েও খাওয়া যায়। আবার ওট্সের উপমা বানিয়ে খেলেও উপকার হবে। তবে ওট্মিলের সঙ্গে বেশি মশলা মেশালে বা চিনি যোগ করলে কিন্তু কোনও লাভই হবে না। অনেকেই ওট্সের সঙ্গে অতিরিক্ত পিনাট বাটার বা ড্রাই ফ্রু্ট্স মিশিয়ে খান। এতেও কিন্তু ক্যালোরি বাড়বে।
ওট্স কী কী ভাবে খেলে উপকার?
ওট্সের পরিজ়
ওট্সের সঙ্গে কাঠবাদামের দুধ মিশিয়ে খেলে ভাল। এর সঙ্গে চিনি নয়, বরং খেজুর, কলা ও অল্প পরিমাণে বেরি জাতীয় ফল মিশিয়ে পরিজ় বানিয়ে খেলে উপকার হবে।
সারা রাত ভিজিয়ে
ওট্সের সঙ্গে কাঠবাদামের দুধ বা দই, এক চামচ চিয়া বীজ মিশিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে তার সঙ্গে ফল ও বিভিন্ন রকম বাদাম মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। স্বাদ বাড়াতে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। তবে চিনি মেশানো যাবে না।
ওট্সের উপমা
কড়াইতে ১ কাপ ওট্স দিয়ে একদম কম আঁচে নেড়ে নিন। এ বার সামান্য ঘি গরম করে তাতে সর্ষে ফোড়ন দিন। ফুটতে শুরু করলে জিরা, ছোলার ডাল, বিউলির ডাল ও কাজু দিয়ে দিন। ছোলার ডাল বাদামি হওয়া পর্যন্ত নেড়ে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। এরপর আদা কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, কারি পাতা দিয়ে আধ মিনিট নেড়ে নিন। এ বার গাজর কুচি, কড়াইশুঁটি ও বিন্স দিয়ে আরও ২ মিনিট নাড়ুন। জল দিয়ে চাপা দিন। ৮-৯ মিনিট লাগবে সব্জি ভাল ভাবে সিদ্ধ হতে। স্বাদমতো নুন ও গোলমরিচ ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার সকালের জলখাবারে বা বিকেলেও স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন।