ওজন কমান মশলা খেয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির বারো মাসে হাজার পার্বণ। উৎসব উদ্যাপন মানেই সাজগোজ। আর তার জন্য চাই ওজন কমানো। তবে উৎসব থাক আর না থাক, রোগা হওয়ার চেষ্টা চলতে থাকে সারা বছর। খাওয়াদাওয়ায় লাগাম দেওয়া থেকে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো, বাইরের খাবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করা থেকে কঠোর ডায়েট— রোগা হওয়ার জন্য বাদ থাকে না কোনও চেষ্টাই। কিন্তু এত কিছু করেও মনের মতো ফল মেলে না। কোথায় ঘাটতি, সেটাও খুঁজে বার করা সহজ নয়। সব সময় চিরাচরিত পথে হাঁটলেই যে উপকার পাওয়া যাবে, তেমনটা না-ও হতে পারে। কিছু আনাজ এবং মশলাপাতির উপর ভরসা রাখলেও কিন্তু ওজন কমাতে পারেন।
দারচিনি
গরম মশলার প্রধান উপাদান দারচিনি। এই মশলা শরীরের বাড়তি মেদ ঝরায়, শর্করার সঠিক মাত্রা বজায় রাখে। ঘন ঘন খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমায়। পেট ভর্তি থাকে দীর্ঘ ক্ষণ।
কাঁচা হলুদ
স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে খুবই উপকারী কাঁচা হলুদ। এতে থাকা ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে খাদ্যনালিকে সুরক্ষিত রাখে। এ ছাড়াও ডায়াবিটিস, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা এবং কোলেস্টেরলের সমস্যাতেও হলুদ খুব উপকারী। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ও ইনসুলিন হরমোনের সঠিক ক্ষরণে সহায়তা করে।
শরীর ঠান্ডা রাখতে মেথির জলের গুরুত্ব যথেষ্ট। ছবি: সংগৃহীত।
মেথি
শরীর ঠান্ডা রাখতে মেথির জলের গুরুত্ব যথেষ্ট। এ ছাড়াও শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমশক্তি বৃদ্ধিতে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে মেথি সত্যিই কার্যকরী। রাতে মেথি ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সকালে উঠে সেই জল খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
ধনে গুঁড়ো
শুধু রান্নায় নয়, শরীরের নানাবিধ সমস্যাতেও ধনে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ধনে গুঁড়ো গ্যাস-অম্বল দূর করা থেকে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি, রক্ত সঞ্চালনও সচল রাখে।