ছেলের জন্মের তিন মাসের মাথায় আবার স্বমহিমায় ধরা দিয়েছিলেন নায়িকা। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর ২০ অগস্ট মা হয়েছেন সোনম কপূর। অন্তঃসত্ত্বাকালীন স্বাভাবিক অবস্থায় ওজন বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণ। কিন্তু ছেলের জন্মের তিন মাসের মাথায় আবার স্বমহিমায় ধরা দিয়েছিলেন নায়িকা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়েদের একটা বাহ্যিক পরিবর্তন আসে। সকল মায়ের মতো সোনম নিজেও সেই পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছিলেন বটে। অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় নিজের ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই ছবির সোনমের সঙ্গে নতুন মা সোনমের কিন্তু কোনও মিল নেই।
মা হওয়ার পর ওজন কমানো সহজ নয়। সোনম নিজেও সেই কথা বলেছেন। চাইলেই আবার ছিপছিপে চেহারায় ফিরে আসা যায় না। তার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। অনেকেই সদ্যোজাত সন্তানের দায়িত্ব সামলে রোগা হওয়ার জন্য আলাদা পরিশ্রম করে উঠতে পারেন না। সে কারণে পরবর্তী কালে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। সোনম জানিয়েছেন, মা হওয়ার পর নিজের জন্য সময় বার করা সত্যিই কঠিন। কিন্তু সুস্থ থাকতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
ঠিক কী কী নিয়ম মেনে চললে মা হওয়ার পরেও ছিপছিপ থাকবে শরীর?
১) অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় ঠিক করে খাওয়াদাওয়া করা সবচেয়ে জরুরি। নয়তো মা হওয়ার পরেও ওজন কমানো দুষ্কর হবে। গর্ভাবস্থায় রোজের পাতে কী থাকছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল, যেগুলি থেকে গ্যাস, অম্বল হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বার বার এ রকম শারীরিক সমস্যা হলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই মা হওয়ার পর দ্রুত রোগা হওয়ার চেষ্টা শুরু হোক অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা থেকেই।
২) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি, নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসও বজায় রাখা জরুরি। তবে গর্ভাবস্থায় কী কী ব্যায়াম করবেন, তা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি। শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে মা হওয়ার পরে ওজন যদি বেড়েও যায়, তা কমানো কিন্তু খুব কঠিন হবে না।
৩) মা হওয়ার পর দ্রুত আগের চেহারায় ফিরতে সন্তানকে স্তন্যপান করাতে পারেন। এতে সদ্যোজাত শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। চিকিৎসকরা এমনিতে সদ্য জন্মেছে এমন শিশুদের বাইরের প্যাকেটজাত দুধ, খাবার খাওয়াতে বারণ করে থাকেন। তাঁরা বলেনই যে, এ সময়ে শিশুর একমাত্র খাবার হওয়া উচিত স্তন্যদুগ্ধ। শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত তাকে স্তন্যপান করান। এতে শরীরের বাড়তি ওজনও অনেকটাই কমবে।
৪) মা হওয়ার পর অস্ত্রোপচারের ক্ষত সারাতে ঘি, মাখন বেশি করে খান। ঘি, মাখনে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে ওজন বেড়ে যায় এমনিতেই। অস্ত্রোপচারের ক্ষত সারানোর পরামর্শ চিকিৎসকের কাছে নিন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে ঘি, মাখনের মতো ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি করে খাবেন না।