রাগি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, জেনে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
এখনকার ডায়েটে ওট্স, ডালিয়া, কিনোয়ার খুব চল। কিন্তু জানেন কি আমাদের দেশেই রয়েছে এমন দানাশস্য, যা পুষ্টিগুণে টেক্কা দিতে পারে বাকি সকলকে? সেই কবে থেকেই আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জোয়ার, বাজরা, মিলেট বা রাগি খাওয়ার চল রয়েছে।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, আটা বা ময়দার রুটি, লুচিতে অম্বল হয় অনেকের। সে ক্ষেত্রে জোয়ার বা রাগির তৈরি রুটির কোনও তুলনাই নেই। আবার দ্রুত ওজন ঝরাতে, কোলেস্টেরল কমাতে চান যাঁরা, তাঁদের জন্যও খুবই উপকারী হতে পারে রাগি। ডায়াবিটিসের রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
গ্লুটেনজনিত অ্যার্লাজির সমস্যা থাকলে গমজাত কোনও খাবারই খাওয়া যায় না। সে দিক থেকেও রাগি নিরাপদ। রাগির আটায় গ্লুটেন নেই। তাই হার্ট থেকে পেট— সব কিছুর সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে রাগি।
কেন রাগি খাবেন?
রাগিতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, রাগিতে থাকা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ লিভারে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে।
রাগিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, রাগিতে ‘আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’ নেই বললেই চলে। তাই রাগি খেলে শরীরে বাড়তি মেদ জমার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও রাগি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
নিয়মিত রাগি খেলে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সাধারণত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারকেই ক্যালশিয়ামের প্রধান উৎস বলে মনে করা হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রাগিতেও যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়াম থাকে। তাই দুধ সহ্য হয় না যাঁদের, তাঁরা রাগি দিয়ে তৈরি খাবার খেতেই পারেন।
কী ভাবে খাবেন রাগি
রাগির আটা দিয়ে রুটি বা চাপাটি খেতে পারেন। রাগির খিচুড়ি খাওয়া যায়। রাগি দিয়ে উপমাও বানানো যায়। রাগির দোসা, স্যালাডও খেতে পারেন। স্বাদ বদলাতে রাগির পোলাও বানিয়েও খাওয়া যায়।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ডায়েট সকলের জন্য একরকম হয় না। রাগি আপনার জন্য ঠিক কিনা তা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।