চিংড়ি বাটার স্বাদই আলাদা। ছবি: সংগৃহীত।
চিংড়ির কত যে পদ! মালাইকারি, ভাপা, কালিয়া খেয়ে মন ভরে গেলে একটু অন্য স্বাদের পদ খাওয়াই যায়। চিংড়ির গুণ অনেক, যে রান্নাতেই পড়ে, তাকেই সুস্বাদু করে তোলে। অরুচি হলে সামান্য উচ্ছে, পেঁয়াজ আর চিংড়ি দিয়ে ভেজে খেয়ে দেখুন, মুখ ছেড়ে যাবে। আবার সবজে ডাঁটা, আলু দিয়ে কুচো চিংড়ির চচ্চড়ি যেন অমৃত। গরম ভাতে সে স্বাদ অপূর্ব। সে মোচা দিয়ে হোক, পটল দিয়ে বা এঁচোড় দিয়ে—চিংড়ি সবের সঙ্গেই যায়।
হাতে সময় যদি কম থাকে আর সুস্বাদু চিংড়ির কোনও পদ বানাতে হয়, তা হলে চিংড়ি বাটা করে দেখতে পারেন। গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতে ঝাল ঝাল চিংড়ি বাটা জমে যাবে।
উপকরণ:
খোসা ছাড়ানো চিংড়ি মাছ- ২৫০ গ্রাম
তেল (সর্ষের তেল হলে ভাল হয়) পেঁয়াজ-২টি রসুন- ৪ থেকে ৫ কোয়া কাঁচা লঙ্কা- ২-৩টি (যেমন ঝাল খাবেন) শুকনো লঙ্কা- ২টি হলুদ- আধ চা চামচ ধনেপাতা- আধ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে চিংড়ি মাছ ভাল করে ধুয়ে নেবেন। কালো সুতো অবশ্যই বার করে নিতে হবে। এ বার মাছগুলি নুন ও হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। এ বার কড়াইয়ে তেল ভাল করে গরম করে চিংড়িগুলি ভেজে তুলে নিন। বেশি কড়া করে ভাজবেন না। সেই তেলেই ২টো কুচোনো পেঁয়াজ, রসুনের কোয়া, লঙ্কা ভেজে নিন। একটু নরম করে ভাজবেন।
এর পর অল্প একটু তেল কড়াইতে নিয়ে তাতে শুকনো লঙ্কা দুটো ভেজে তুলে নিন। ভাজা শুকনো লঙ্কা আলাদা করে গুঁড়িয়ে রাখুন। এ বার সব উপকরণ ঠান্ডা হলে মিক্সিতে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। শিলেও বাটতে পারেন। বাটার পর এক বার নুনের স্বাদটা ঠিক আছে কি না, দেখে নেবেন। এ বার গোটা মিশ্রণে একটু সর্ষের তেল দিয়ে ভাল করে মেখে নিলেই তৈরি গরমাগরম চিংড়ি বাটা। উপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। গরম ভাতের সঙ্গে দারুণ লাগবে। এক বার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছে করবে।