Saline Controversy

স্যালাইন-কাণ্ড: মেদিনীপুর মেডিক্যালের দুই সিনিয়র চিকিৎসককে তলব, ভবানী ভবনে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

মেদিনীপুর মেডিক্যালের দুই সিনিয়র চিকিৎসককে তলব করল সিআইডি। সমন পাঠিয়ে শুক্রবার তাঁদের ভবানী ভবনে ডাকা হয়েছিল। সিআইডির তলবে দুই চিকিৎসকই ভবনী ভবনে আসেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৮
Share:

স্যালাইন-কাণ্ডে ভবানী ভবনে দুই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

স্যালাইন-কাণ্ডে এ বার মেদিনীপুর মেডিক্যালের দুই সিনিয়র চিকিৎসককে তলব করল সিআইডি। সমন পাঠিয়ে শুক্রবার তাঁদের ভবানী ভবনে ডাকা হয়েছিল। সিআইডির তলবে দুই চিকিৎসকই ভবনী ভবনে আসেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালের দুই সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক এবং দিলীপ পালকে তলব করা হয়েছিল। শুক্রবার দুই চিকিৎসকই ভবানী ভবন আসেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন তাঁরা ডিউটি ছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা করছে সিআইডি। অভিযোগ, ঘটনার দিন এই দুই চিকিৎসকেরই ডিউটি ছিল মেদিনীপুর মেডিক্যালে। কিন্তু তাঁরা আসেননি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। অভিযোগ উঠেছিল, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তভার হাতে নিয়ে একাধিক বার মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়েছে সিআইডি দল। ঘটনার দিন ডিউটি থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের ইতিমধ্যেই বার কয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিআইডি আধিকারিকেরা। শুধু জুনিয়র ডাক্তার নন, সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের সুপার, অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধানদেরও সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। যে স্যালাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। শুধু তা-ই নয়, বেশ কিছু ওযুধের নমুনাও নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এ বার দুই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানী ভবনে তলব করে সিআইডি।

Advertisement

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আরএমও এবং সুপার। পরে আরও এক জুনিয়র ডাক্তারকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁদের নামে পরে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। জেলা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থানায় গিয়ে অভিযোগ জমা করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement