শীতের আবহে সুস্থ থাকার দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
শীত আসুক না-ই বা আসুক, সর্দি-কাশির প্রকোপ কিন্তু ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্রামে, বাসে, ট্রেনে, অফিসে হাঁচি, কাশির শব্দে মুখর। শীতকাল না আসতেই এই অবস্থা। জাঁকিয়ে শীত পড়লে কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কিত অনেকেই। শীতের আবহে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে যে কোনও রোগই খুব তাড়াতাড়ি শরীরে জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে এই মরসুমে জ্বর, সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক। শীতকালে শরীরের প্রতি বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন। তার জন্য জীবনযাত্রায় বদল আনার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ায় খানিক বদল আনা জরুরি। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে কোন খাবারগুলি বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন?
কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ প্রদাহ-বিরোধী। অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল কাঁচা হলুদ যে কোনও রকম সংক্রমণের হাত থেকে শরীরে সুস্থ রাখে। শীত বলে নয়, সারা বছর সুস্থ থাকতে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন।
রসুন
ফ্লু জাতীয় কোনও সমস্যা বা ভাইরাসজনিত রোগের সঙ্গে লড়তে শক্তি জোগায় রসুন। শীতকালীন গলা ব্যথার হাত থেকেও নিমেষে মুক্তি দেয় রসুন। গরম ভাতে কাঁচা রসুন বেশ উপকারী। তবে কাঁচা রসুন খেতে সমস্যা হলে রান্নায় বেশি করে রসুন দিতে পারেন।
আদা বিপাক পদ্ধতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ছবি: সংগৃহীত।
আদা
ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ আদা বিপাক পদ্ধতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আদার অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে হজমের গোলমাল থেকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে আদা।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কমলালেবু, পালং শাক, লঙ্কা, লেটুস ইত্যাদি ফল এবং শাকসব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। অনেকে আবার ভিটামিনের সাপ্লিমেন্টও খান। তবে চিকিৎসকরা বলেন, সাপ্লিমেন্টের বদলে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল ও সব্জি খাওয়াই বেশি উপকারী।