মশলা খেয়েই গ্যাস কমান। ছবি: সংগৃহীত।
গ্যাস-অম্বল বাঙালির নিত্যদিনের সঙ্গী। সকাল শুরু হয় বুকজ্বালা, পেটের মধ্যে মোচড়, চোয়া ঢেঁকুর দিয়ে। সেই রেশ দিনভর থাকে। গ্যাসের বড়ি খেয়ে তার পর মেলে স্বস্তি। বাইরের খাবারের প্রতি টান থাকলে মাঝেমাঝেই এমন হবে, সেটা অস্বাভাবিক নয়। তাই অনেকেই গ্যাস-অম্বল থেকে বাঁচতে তেল-মশলাদার খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করেন। অথচ গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারে কয়েকটি মশলা।
জিরে
আমিষ কিংবা নিরামিষ, রান্নায় জিরে ফোড়ন না দিলে স্বাদ হয় না। তবে জিরে গ্যাস-অম্বল থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। জিরেতে রয়েছে এক ধরনের বিশেষ তেল। যা গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমায়।
গোলমরিচ
সর্দি-কাশি ছাড়াও গোলমরিচে থাকা নানা স্বাস্থ্যকর উপাদান হজমশক্তি উন্নত করে। হজম ভাল হলে গ্যাস হওয়ার ভয়ও অনেক কম থাকে। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও গোলমরিচ এমনিও খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
দারচিনি
পেট ভাল রাখতে দারচিনির জুড়ি মেলা ভার। পেটের খেয়াল রাখতে তাই নিয়মিত দারচিনি খেতে পারেন। অনেক সময় গ্যাস হলে বমি বমি পায়। সেই সমস্যাও দারচিনির গুণে দূরে চলে যায়।
এলাচ কিন্তু গ্যাস-অম্বল কমাতে দারুণ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
এলাচ
পায়েসে দিলে স্বাদ এবং গন্ধ দুই-ই বেড়ে যায়। এলাচ কিন্তু গ্যাস-অম্বলও কমাতে দারুণ উপকারী। অম্বল হলেই একটা এলাচ যদি মুখে পুরে দিতে পারেন, তা হলে আর ওষুধ খাওয়ার দরকার পড়বে না। নিয়ম করে না হলেও, মাঝেমাঝে যদি এলাচ খান তা হলে পেটের সমস্যা নিয়ে ভুগতে হবে না।
আদা
অন্যান্য আনাজপাতির চেয়ে আদা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আদার জুড়ি মেলা ভার। গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমাতেও আদা উপকারী হতে পারে। আদায় রয়েছে ফাইটো কেমিক্যালস, এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধি পেতে দেয় না। দাঁতের জন্যেও ভাল আদা।