শরীরের বাড়তি মেদ অনেক সময়েই অবসাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
একটা বয়সের পর মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায়। প্রজননে সহায়ক হরমোনগুলির উৎপাদন এবং ক্ষরণের পরিমাণও কমে আসে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বয়স ৪৫ থেকে ৫৫-এর মধ্যেই মেয়েদের ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, এই সময়ে সব মহিলাকেই কিছু শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ক্রমাগত হরমোনের হেরফেরে চেহারাতেও নানা রকম পরিবর্তন আসে। পরিমিত খাবার খাওয়ার পরেও দেহের বিভিন্ন জায়গায় মেদ জমতে শুরু করে। চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন আসে ওজনে। এই পরিবর্তনগুলি মেনে নেওয়া অনেকের পক্ষেই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অবসাদে ডুবে যান অনেকেই। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে এই ধরনের সমস্যা একটু হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
১) নিয়ম করে শরীরচর্চা:
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। যার ফলে শুধু শরীর নয়, মনও ভাল থাকবে। অতিরিক্ত মেদও শরীরে জমতে পারবে না। এই সময়ে শরীর যে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়, তার সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
২) প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া:
এই সময়ে শরীর এবং মনের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ ভাবে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, হাড় মজবুত করতে, শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজের জোগান দিতে সাধারণ খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ফল, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৩) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যাপ্ত ঘুম:
স্বাভাবিক নিয়মে যা আসছে, তা গ্রহণ করে নেওয়াই চাপমুক্ত থাকার সহজ পন্থা। মোটা হয়ে যাওয়া বা দেখতে খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে মনের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করার কোনও মানে নেই। তার চেয়ে বরং ধ্যান, প্রাণায়ামের সাহায্যে মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।